
এসএম সোহেলঃ
মাত্র ক্লাস টুতে পড়া অবস্থায় বাবার কাছে গানের হাতেখড়ি আমার,সেই অনুপ্রেরণা বুকে নিয়ে আজো সঙ্গীতের সাথেই আছি।আমৃত্যু গানের মাঝে ডুবে থাকতে চাই।
কথাগুলো সময়ের ব্যস্ততম সঙ্গীতশিল্পী পলি শারমিনের, নিজের স্বপ্ন ও বাস্তবতার কথা গুলো এই প্রতিবেদকের সাথে শেয়ার করলেন সময়ের জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী।
চমৎকার গায়কীর কারনে বর্তমানে মৌলিক গান ও স্টেজ শো-তে সমানতালে ব্যস্ত সময় পার করছেন মিষ্টি কন্ঠী এই শিল্পী।
বন্দরনগরী চট্রগ্রাম শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা পলি শারমিনের।পুরো নাম শায়লা শারমিন পলি হলেও দর্শক শ্রোতারা তাকে পলি শারমিন নামেই ডাকে।
পলির ছোট বেলায় প্রথম সঙ্গীতে হাতে খড়ি হয় বাবা এম শামসুল আলম এর হাত ধরে,পরবর্তীতে টানা দশ বছর উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়ার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতে তালিম নেন।২০১২ইং সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আধুনিক গানের শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।
২০০৫ইং সালে প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক প্রণব ঘোষের সংগীত পরিচালনায় প্রথম এলবাম প্রকাশিত হয়।এপর্যন্ত বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানি থেকে এবং ইউটিউবে চারটি এলবাম সহ বেশ কয়েকটি সলো গান প্রকাশিত হয়েছে।
তারমধ্যে জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে রিলিজ হওয়া ‘বাংলাদেশী রাজকুমারী’গানটি ভীষণ ভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।গানটির কথা লিখেছেন এস কে দ্বীপ এবং সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর শওকত আলী ইমন।
এছাড়া বর্তমানে দেশের জনপ্রিয় গীতিকার সুরকারদের লেখা সুরে গান গেয়েছেন পলি শারমিন।অপ্রকাশিত গানের তালিকায় রয়েছে প্লেব্যাক সহ বেশ কয়েকটি মৌলিক গান।
জানতে চাইলে পলি বলেন,গানই আমার জিবন গানই আমার মরন,গান ছাড়া আমি একমূহুর্ত ও কল্পনা করতে পারিনা। গানের জন্য আমি কঠিন দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছি। সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমি সবার কাছে পরিচিত হতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন,আমার ইচ্ছে ভবিষ্যতে আমার গানের উপার্জন দিয়ে এতিমখানা,বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল নির্মাণ করার। যেখানে স্বল্প খরচে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা আপামর জনসাধারণ পাবে। এককথায় মৃত্যুর আগে আমি মানবতার জন্য কিছু করতে চাই।এটাই আমার স্বপ্ন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।