
কাজী আল আমিন, বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের খাতা বাড়িয়া নামক স্থানে সোনাই নদীর সংযুক্ত খালে, বিভিন্ন জায়গা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য নষ্ট করছে নদীর স্বাভাবিক জীবন। এতে নষ্ট হচ্ছে কৃষির উর্বরতা, তেমনি দূষিত করছে নদীর পানি।
গতবছর ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে পলিব্যাগ ব্যবহার ও পলিথিন ফেলা নিষিদ্ধ থাকলেও কার্যকর ভূমিকার কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রোডে সংযুক্তি খাতা বাড়িয়া যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি খাল পশ্চিম দিকে গিয়ে সোনাই নদীতে সংযুক্ত হয়েছে। সেই খালের বাস্তব চিত্রে খাতা বাড়িয়া ও আশপাশের এলাকার সকলের বিবাহ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল উক্ত খালে ফেলে রাখে। সেই পলিথিন ও প্লাস্টিক জমাট হয়ে কিছু পানির নিছে মাটিতে পড়ে যায় আর কিছু স্তুপে পরিণত হয়ে সোনাই নদীতে মিলিত হয়ে অপচনশীল বর্জ্য নদীর সৌন্দর্য ও স্বাভাবিক জীবনসহ মানবজাতির জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অপচনশীল বর্জ্য স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে ব্যবহারে অনাগ্রহ ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে আইনকে বাস্তবায়িত করা এখনই প্রয়োজন।
এলাকাবাসী জানান, এলাকা ও আশপাশের গ্রামের সকল বিবাহ অনুষ্ঠানের ব্যবহৃত পলিথিন ও প্লাস্টিক এখানে ফেলে যায়।
তারা আরও বলেন, এখানে মৃত গরু ছাগল এনে ফেলে যায়। আমরা পচনের দুর্গন্ধ চলাফেরা করতে পারি না। তাই স্থানীয়ভাবে এগুলো প্রতিরোধ করা দরকার।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অলি মেম্বার জানান, এটা সাত বর্গ এলাকায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ কারো কথা শোনে না। সামাজিকভাবে সচেতন করাও দুঃসাধ্য। পদক্ষেপ নিলে আমার বিরুদ্ধে একদল দাঁড়িয়ে যাবে। তাই কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না। আপনারা কোনো পদক্ষেপ নিলে আমি পাশে থাকব।
এ বিষয়ে তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর উপজেলার সদস্যসচিব সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এজন্যই বিভিন্ন স্থানে নদীতে হাঠে বাজারে মাঠে নিষিদ্ধ পলিথিনের ছড়াছড়ি। বাস্তবায়িত হচ্ছে না আইনের সুশাসন। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, পরিবেশ রক্ষার্থে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।