মঙ্গলবার, ৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

বুলেট কবিরের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের

লিটন হোসাইন জিহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
নবীনগর উপজেলা দক্ষিন কাইতলা ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামের মৃত মন মিয়ার ছেলে মো: কবির হোসেন ওরুফে বুলেট কবিরের উশৃঙ্খল কার্যকালাপের উপর অতিষ্ট হইয়া একই গ্রামের মো: মিলন মিয়ার ছেলে মো: সাব্বির আহাম্মদ নবীনগর থানায় গত ২/৭/২০২৩ইং তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার নম্বর ১০২৭— ২/৭/২০২৩ ইং।
এর কিছু দিন পর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় গত ১৫/০৬/২০২৩ইং তারিখে স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগকারী সাব্বিরের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবৎ ধরে আভিযোগ কারির বাড়িতে প্রতিনিয়ত গভীর রাতের তাদের বসত বাড়ির পাশের ঘরে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন সন্ত্রাসী টাইপের লোকদের নিয়ে ঘরের দরজা কৌশলে খুলে প্রবেশ করে এবং তারা মাদক সেবন সহ জোয়ার আসর বসায়। পাশাপাশি অবৈধ নারীদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপ করে আসছে। আভিযোগকারী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তারা রোজী রোজগারের তাগিদায় স্ব-পরিবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে থাকেন।

এই সুযোগে অপরাধিরা খালি বাড়ি পাইয়া অপকর্ম গুলো করে যাচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে গোয়ালী গ্রামবাসির মাধ্যমে জানা যায়, কবির ওরফে বুলেট কবির মাদক সেবন সহ গ্রামের পুরুষশূন্য প্রবাসীদের স্ত্রীদেরকে ইভটিজিং সহ বিভিন্নভাবে উৎত্তপ্ত করে আসছে এবং গ্রামের সহজ সরল মেয়েদেরকে দীর্ঘ দিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কুপ্রস্তাবে কেউ রাজি না হলে তাদের বিরুদ্ধে সমাজে অপ্রীতিকর কথা রটানো সহ মহিলাদের ইজ্জত এর উপর আঘাত হানে। তার এই অপকর্মের কারণে একই গ্রামে বাসিন্দা মজনু মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া ঢাকায় চাকরি করে এর সুযোগ সন্ধানে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেয় এবং নরীলিপ্সু বুলেট কবির তার কুপ্রস্তাবে মামুনের স্ত্রী রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষদের মধ্যে অপ্রীতিকর খারাপ মন্তব্য করছে। মামুনের স্ত্রী এই অপমান অপদস্ত সহ্য করতে না পারায় মামুন তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি থেকে তার কর্মস্থল ঢাকায় নিয়ে যায়।

এই ধরনের ঘটনার কারণে গোয়ালী গ্রামে সাধারণ মানুষের স্ত্রীও যুবতী মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার মূলহোতা বুলেট কবিরের ভয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে কোনো কিছু বলতে পারছে না। অভিযুক্ত কবির দীর্ঘ দিন যাবৎ ধরে বাদীর ঘরে এই ধরনের অপকর্ম করছে। ঘটনার কয়েক দিন পূর্বে বাদীর বাড়ির লোকের মাধ্যমে জানতে পেরে বাদীর মাতা নাজমা বেগম(৫০) ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে সন্ত্রাসী কবিরকে বাঁধা নিষেধ দিলে আরো ক্ষিপ্ত হইয়া গত ১০/০৬/২০২৩ইং রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় নাজমা বেগম তার বসত ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কুমতলবের উদ্দেশে তার অজ্ঞাতনামা সস্ত্রাসীদের নিয়ে ঘরের দরজায় দাক্কা-দাক্কির এক পযার্য়ের দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাজমা বেগমের ঘরের টিনের দরজায় এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশের চেষ্টা করা কালে নাজমা বেগম তার জীবন রক্ষার্থে সুর চিৎকার করতে লাগলে পাড়া প্রতিবেশী চিৎকার শুনে ঘটনা স্থলে পৌছা মাত্রাই আসামি তার অঘাতনামা আসামিদের নিয়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নাজমা বেগমকে হুমকি দেয় পরর্বতীতে সুযোগ সন্ধানে প্রতিশোধ নিবে। ঘটনার পরদিন তার অপকর্ম ধামা চাঁপা দিতে নাজমা

বেগমের বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর তুচ্ছ কথা বার্তা গ্রামে বলে বেড়াচ্ছে এতে নাজমা বেগম মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানায় সাব্বির আহম্মদ। সরজমিনে গিয়ে আরো জানা যায় দক্ষিণ কাইতলা ইউপি চেয়ারম্যান সৌকত আলী নিকট গত ১৫/০৬/২০২৩ইং তারিখে আবেদন করিলে চেয়ারম্যন তার পরিশোধের সকল ইউপি সদস্য সহ গোয়ালী গ্রামের জনসাধারণকে নিয়ে এই ব্যাপারে একটি শালিশ ডাকে। চেয়ারম্যান এর শালিশের ডাকে অভিযুক্তকারি বুলেট কবির শালিশে উপস্থিত না হইয়া বাদী এবং বাদীর মাকে খুন করার উদ্দেশে হুমকি দিয়ে আসছে। চেয়ারম্যানের নিকট ঘটনার ব্যাপারে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী বুলেট কবির যা ঘটনা ঘটিয়েছে তার সম্পূর্ন সত্য। চেয়ারম্যান আরো বলেন কবির গরু চুরি সহ বিভিন্ন অপকর্ম সাথে একাধিক ভাবে জড়িত রয়েছে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদকে জানায়।

নবীনগর থানায় অভিযোগ দাখিল করিলে ওসি নবীনগর শিবপুর ফাড়ির ইনর্চাজকে তদন্ততের নির্দেশ দেয়। এই ব্যাপারে ফাড়ির ইনর্চাজের নিকট তদন্তের সত্যতা জানতে চাইলে ইনর্চাজ বলেন ঘটনা সত্য। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি বুলেট কবিরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। গোয়ালি গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য মহিলা মেম্বার ও সাবেক মেম্বার সহ গ্রামের অনেক মানুষ ঘটনার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা গ্রামবাসী বুলেট কবিরের অত্যাচারে গ্রামের মা-বোনদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। আমরা গ্রামবাসি তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। বাদী সাব্বির আহম্মদ তার পরিবারের লোকজন বুলেট কবিরের ভয়ে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাইতে পারছে না। তাদের দাবি আভিযোগের ভিত্তিতে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হোক। এদিকে বাদী আসামির ভয়ে গত ৬/৭/২০২৩ইং তারিখে বাদীর পরিবারের আত্মরক্ষাতে নবীনগর থানায় একটি জিডি করেন। জিডি নম্বর-৩৭৭—২০২৩ইং।

Avwgbyj Bmjvg|

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ