সালমান হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন বিহায়ইর গ্রামের লোকজনের প্রধান পেশা কৃষি হলেও ঐ গ্রামের কৃষকরা বিকল্প কর্মসংস্থানের আশায় শুরু করেন সবজির নার্সারি ব্যবসা। আর এতে করেই সেখানকার কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। সবজির চারা বিক্রি করে এখন অনেকেই হয়েছেন স্বাবলম্বী।
এখন ওই গ্রামে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে রঙিন সাদা কাপড় ও পলিথিনে ঢাকা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুধু নার্সারি আর নার্সারি।
বিহায়ইর গ্রামের অরুণ চঁন্দ্র সরকার নামে এক নার্সারি ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় ৪০ বছর পূর্বে সবজির নার্সারি করার কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম দিকে তিনি সফলতা না পেলেও একাধিকবার চেষ্টার পর এক সময় তিনি সবজির চারা উৎপাদনে সফল হন। এখন এলাকার চাহিদা মিঠানোর পর অন্যান্য জেলা থেকেও লোকজন চারা ক্রয় করতে তার সবজির নার্সারিতে আসেন।এখানকার চারা কৃষকের কাছে জনপ্রিয় হওয়ায় বাজারে নিয়ে তার চারা বিক্রি করতে হয় না। কৃষকরাই সরাসরি তার সবজির নার্সারিতে চলে আসেন। অনেকেই আবার আগাম অর্ডার দিয়ে যান নার্সারি মালিকদের।
নার্সারি ব্যবসায়ী বিকাশ চৌধুরী তিনি জানান, আমরা ভাদ্র মাসে নার্সারীর কাজ শুরু করি আর জ্যৈষ্ঠ মাসে গিয়ে মৌসুম শেষ হয়। এক মৌসুমে সবজির চারা চার দফা উৎপাদন করা হয়। প্রথম দফায় আগাম সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। এতে লাভ পাওয়া যায় বেশি।
এই গ্রামে নার্সারিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, শালগম, টমেটো, বেগুন, মরিচ, লাউ পেঁপেসহ বিভিন্ন জাতের সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। বিহায়ইর গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ীরা তাদের এই ব্যবসা বৃদ্ধি করার জন্য সরকারি সহায়তা কামনা করেন।