
স্টাফ রিপোর্টার:
জনবল কোম্পানি ‘বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিসের’ পরিচালক অপারেশন ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আবু নাছের সজরুল হক সুজনের পরিবারের উপর হামলা ও তার স্ত্রী লীনা বারিকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদকব্যবসার অপবাদ দিয়ে মানববন্ধন করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঠিকাদার আবু নাছের সজরুল হক সুজনের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানববন্ধনের বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
গত ৭ জুলাই বিকেলে আবু নাছের সজরুল হক সুজন ও তার স্ত্রী লীনা বারিকদারের ছেলে ভিক্টরকে ইয়াবা সেবন করার অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আখতার হোসেনের ছেলে সাব্বিরসহ আরও কয়েকজন যুবক ফুলবাড়িয়ার একটি পুরান বাড়িতে তুলে নিয়ে মারধোর ও তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিএসএস সিকিউরিটি সার্ভিসেস কোম্পানির ম্যানেজার প্রকাশ বাড়ৈ ও লীনাসহ ৪ জন আহত হয়।
এবিষয়ে লীনা প্রতিবাদ করলে বিকেলে সাব্বির ২০-৩০ জন নারী-পুরুষসহ সুজনের বাড়িতে হামলা করেন। পরবর্তীতে তাদের বাড়ির ৫টি সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে দেন তারা।
স্থানীয় ও পুলিশ এসে সুজন ও তার পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করেন। তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সুজনের পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনাকে দামাচাপা দিতে আখতার হোসেন ও তার সমর্থিত প্রায় শতাধিক লোক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মিথ্যা মাদক ব্যবসার অভিযোগে মানববন্ধন করে।
এব্যাপারে ঠিকাদার আবু নাছের সজরুল হক সুজন বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। আমি জনবল সেবাকর্মী সরবরাহ সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাসপাতালে সার্ভিস প্রদান করি। আমার ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক লীনা বারেকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মাদক ব্যবসার বিরোধী মানববন্ধনের তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ফুলবাড়িয়ায় দুপক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা হয়েছিল। এব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। উভয়পক্ষের লোকেরা বসে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জেনেছি।