

শামিম হাসান খান, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ৮ সেপ্টেম্বের বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পযন্ত ভোটে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কুমারখালীর যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে নির্বাচন। বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উক্ত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৫ জন যদুবযরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের প্যানেল বিজয়ী হয়েছেন, এদের মধ্যে মোঃ খাইরুল ইসলাম ৩১২ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন, মোঃ তরিকুল ইসলাম ৩০৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন,মোঃ আমিরুল ইসলাম ৩০৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন, মোঃ মনিরুল ২৯৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন, অন্য দিকে মোছাঃ লিপি খাতুন ২৯৪ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। পরাজিত অপর প্যানেল হচ্ছে কামরুজ্জামান সাবু প্যানেল। ভোট গননার সময় প্রথমে কারচুপির চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। জনতা সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ করেছে বলে বিজয়ীরা জানান। ও সন্ধ্যার পরে জয়বাংলা বাজারে পথসভা করে মিজান প্যানেলের সমর্থকেরা। পথসভায় বক্তারা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ভোট চুরি করে ফলাফল ঘুরিয়েছিল। পরে জনগণের তোপের মুখে পুনরায় ভোট গুণে আমাদের বিজয় ঘোষণা করেছেন। শিক্ষা অফিসার একজন ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, নোংরা চরিত্রের মানুষ। তিনি উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করছে। উপজেলা থেকে তাঁকে অপসারণের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করা হবে।’ জানা গেছে, হামলার ভয়ে প্রায় এক ঘন্টা পরে পুলিশ পাহারায় ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিজান প্যানেলের দুজন সমর্থক বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার ভোট চুরি করেছিল। এ জন্য আমাদের লোকজন তাঁর গাড়ি অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যাপারটি বুঝতে পেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’ এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথমে ভোট গণনায় ভুল হয়েছিল। পরে সঠিক করে গুণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ভুলতো হতেই পারে। তবে গাড়ি অবরোধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সব জায়গায় গ্রুপিং রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ। ভোটে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কিন্তু ভোট চুরি বা গাড়ি অবরোধের বিষয়টি জানা নেই।