
খন্দকার শাহ নেওয়াজ, রায়পুরা প্রতিনিধি: নরসিংদীর রায়পুরায় গত ইউপি নির্বাচনে মরজালে ভোট দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের পর চরমরজাল মধ্যপাড়া দারুল আরকাম মাদ্রাসা নামে একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছেন পরাজিত ইউপি সদস্য হারুনু মিয়া ও তার ভাই আপন ওরফে কালা মিয়া গং। ফলে নির্বাচনের পর থেকে আজ প্রায় বছর খানেক ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের চরমরজাল মধ্যপাড়া এলাকায় সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার মাধ্যমে এসব কথা জানান মাদ্রাসার পক্ষের লোকজন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা তরুন সমাজসেবক রাজিবুর রহমান রাজিব জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারী মাসে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে পরামর্শক্রমে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫০জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে চরমরজাল মধ্যপাড়া দারুল আরকাম মাদ্রাসাটি। কিন্তু গত ইউপি নির্বাচনে হারুন মিয়ার পক্ষে কাজ না করে আরেক প্রার্থী আরিফুজ্জামান আরমান মোল্লার পক্ষে নির্বাচন করে মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। নির্বাচনের পর হারুন পরাজিত হয়ে হিংসাত্বকভাবে মাদ্রাসার সামনে তার জমি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য নিষেধ করেন এবং রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। ফলে দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম। এরই প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, মরজাল ইউনিয়ন পরিষদের ০৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আরিফুজ্জামান আরমান মোল্লা, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ বাছেদ বাচ্চু, সমাজসেবক সেকান্দর আলী প্রধান, আবুল কাশেম, মো. শাজাহান ভেন্ডার, মোহাম্মদ আলী প্রধান, রবিকুল ইসলাম রবি, আলাউদ্দিন, আবু তাহের, ইব্রাহীম মিয়া, হযরত আলী, মাদ্রাসার মোহতাতিত হাফেজ ক্বারী নাজিম উদ্দিন প্রমূখ।
এসময় বক্তাগণ অতি দ্রুত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিদার্থে রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহবান জানান। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন মিয়ার সাথে কথা বলার চেষ্ঠা করলেও তাৎক্ষনিকভাবে তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।