
মোঃ আমিনুল হক শাহজাদপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অস্ত্র মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) দুপুরে সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪ (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত) এর বিচারক সুপ্রিয়া রহমান এ রায় প্রদান করেন।
সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি) মোঃ হাদীউজ্জামান সেখ (হাদী) এতথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-A ধারায় দায়েরী মামলায় তাদেরকে এই রায় প্রদান করেন। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের মৃত ওসমান ফকির সোনাউল্লাহর ছেলে মোঃ এরশাদ আলী, পাবনা জেলার অরেঙ্গাবাজ গ্রামের মৃত আকবর শেখের ছেলে মোঃ নজরুল, সুজানগর থানা নয়নামতি গ্রামের মৃত নাছির উদ্দিন @ নেছার উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবুল হাসেম ও পাবনা জেলার জয়গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ হাসান আলী প্রামানিক।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী সকালে শাহজাদপুরের সাজেদা ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম অফিস থেকে বের হয়ে উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের কিস্তির টাকা উত্তোলন করার উদ্দ্যেশে বের হন। বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে কিস্তির ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন বেলা সোয়া ১২টার দিকে বাড়াবিল গ্রামের বড় ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে রাস্তার উপর অটোভ্যান রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এ সময় আসামীরা ৩টি মোটরসাইকেলযোগে এসে ফিল্ড অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলামকে ঘিরে ধরে আসামীরা তাদের হাতে থাকা পিস্তল তার মাথায় ঠেকিয়ে ও আরেকজন শার্টারগান বুকে ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং অন্যান্য আসামীরা তাকে কিলঘুষি মেরে তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে প্যান্টের পকেটে থাকা কিস্তির নগদ ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় ফিল্ড অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আসামীদেরকে আটক করে গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক কে.এম রাকিবুল হুদা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামীদেরকে হেফাজতে নেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-অ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১০জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘদিন সাক্ষ্য সমাপ্তি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি) মোঃ হাদীউজ্জামান সেখ (হাদী) ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (আতা)।