
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালিকচ্ছ গ্রামে অবস্থিত ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পুরোধা বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের পৈতৃক ভিটা ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জবরদখলের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার যায়যায়কালে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসেন।
তিনি দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবৈধ দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। কালিকচ্ছের নায়েবকে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইউএনও মোশারফ হোসেন বলেন, “এই ঐতিহাসিক জমির উপর অবৈধ দখল মেনে নেওয়া যাবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দৈনিক যায়যায়কালের অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন ও প্রশাসনের দ্রুত সাড়া প্রশংসিত হচ্ছে সর্বমহলে। অনেকেই বলছেন, “সংবাদের শক্তিই দেখিয়ে দিল – ইতিহাস রক্ষায় সচেতন সাংবাদিকতা কতটা প্রয়োজনীয়।”
স্থানীয়দের দাবি, উল্লাসকর দত্তের বাড়িটি জাতীয় ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক।
উল্লেখ্য, বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত ছিলেন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনের সাহসী যোদ্ধা ও অনুশীলন সমিতির অন্যতম কর্মী। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি সরাইলবাসীর গর্ব এবং জাতীয় ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ।