
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাটহাজারীতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য চার মাস পর কবর থেকে মেহেরুন্নেছা নামে এক গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের মামলার প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূর বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারবীনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
পুনঃ ময়নাতদন্তের আবেদন সূত্র ও নিহতের ভাই মো. নাইম ও ছোট মামা বাদশাহ জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বোন শ্বশুরবাড়িতে নিজ রুমে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেরুন্নেছার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। ঝুলন্ত লাশের অবস্থা দেখেই আত্মহত্যা করেছে তা মনে হয়নি। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের খবর দেয়া হয়েছিল দরজা ভেতর থেকে বন্ধ কিন্তু দরজা খোলা দেখতে পাই। লাশের প্রথম সুরতহালে যৌনাঙ্গে বীর্যের উপস্থিতি পরিলক্ষিত এমন বর্ণনা লিখলেও পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সে লেখাটি ছিল না। রিপোর্টে বলা হয়েছিল আত্মহত্যা। পরে ২৯ মে পুনঃ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত তা আমলে নিয়ে রায় দেন। একইসাথে মামলার ১নং আসামি নিহতের দেবর মো. সাইফুল ইসলামের বায়োলজিক্যাল পরীক্ষার জন্যেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলী আকবর বলেন, লাশ উত্তোলনের পর চমেক মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শিগগিরই মামলার ১ নং আসামি মো. সাইফুল ইসলামের বায়োলজিক্যাল পরীক্ষা করানো হবে।
হাটহাজারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহরাজ শারবীন বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে গৃহবধূর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় চিকনদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আফছারসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডের হাজী কবির আহাম্মদের বাড়ি থেকে গৃহবধূ মেহেরুন্নেছা (২০)’র ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই বাড়ির প্রবাসী ওয়াহিদুল আলম মঞ্জুর স্ত্রী ও বড়দিঘিরপাড় এলাকার লাল মিয়া মিস্ত্রির বাড়ির আব্দুল কাদেরের কন্যা। ঘটনার পর পরই নিহতের পরিবার তার দেবর, এক ননদ ও শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন।