
মো. রবিউল আলম মুকুল
খেলেছি মোরা রাম সাম যদু মধু,
ভাই ভাবি খেলতো যদিও ভাবি নববধূ।
খেলার ছলে খেলতাম চোর পুলিশ বাবু আর ডাকাত,
আজকাল উল্টো পথে গ্রাম বিভাজন আর সংঘাত।
চিৎকার করে বলতো বন্ধু বলারাম,
গাছে গাছে পেকেছে জাম।
ভোরে ভোরে গাছ তলায় ঘুরে কুঁড়াতাম আম।
বরই, পেয়ারা কাঁঠালে ভরপুর নয়ন জুড়াতো বেশ,
শস্য সবুজ শ্যামলে ভরপুর মোদের স্বদেশ।
জলাশয়ে খালে বিলে কিলিবিলি করতো শিং,মাগুর আর কই
বাড়ি বাড়ি ঘুরেছে কবিতা আর গল্পের বই,
শৈশবে মক্তব এ যেতাম করে হইচই।
মায়ার বাঁধনে থাকতো সকলে,
দরদ দিয়ে মিলেমিশে দেখতো রোগী,
ঘরে ঘরে পালন করতো হাঁস মুরগি।
পাখি ডাকা ঊষাকালে করিম কাকা গরু নিয়ে শিশির ভেজা ঘাসে,
বেরিয়ে যেত লাঙ্গঁল জোয়াল নিয়ে হাল চাষে,
সুজলা-সুফলা ভূমি ভরে উঠতো গম আর ধানের শীষে।
বাপ দাদার ঐতিহ্যের গাঁও আর নাই,
ঘরে ঘরে জড়িয়েছে বিবাদে
ভাই-ভাই।
বিলুপ্ত কানামাছি, বউচি,হাডুডু গ্রাম বাংলার খেলা,
হারিয়ে গেছে মাঠে-ঘাটে বসতো ঐতিহ্যের মেলা।
গ্রাম শহর আর বন্দর,
কোন কিছুই যেন নেই আগের মতো সুন্দর।
খাল বিল নদী-নালা গেছে ভরে,
লোকালয় যায় ডুবে সামান্য ঝড়ে।
আগামী প্রজন্ম দেখবে না সৌন্দর্য,
হারিয়ে গেছে মোদের ঐতিহ্য।