মঙ্গলবার, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ বছর পুরানো ৩০০ গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দরের ‘গলার কাঁটা’

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরে গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে থাকা ৩০০ গাড়ি নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। মামলা থাকায় নিলাম বা ধ্বংস করতে পারছে না কাস্টম হাউস। অবশেষে নিলাম শেডের স্ক্র্যাপ পণ্য বিক্রি করে এসব গাড়ি অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহুতল কার শেড এবং কেমিকেল শেডের ঠিক মাঝেই গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে প্রায় ৩০০ প্রাইভেট কার, পাজেরো, মাইক্রোবাস এবং পিকআপ। বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব গাড়ি আমদানিকারক ছাড় না করায় এখানে ফেলে রাখতে বাধ্য হয়েছে কাস্টম হাউজ। আবার আমদানি সংক্রান্ত মামলার কারণে এসব গাড়ি নিলামে বিক্রি কিংবা ধ্বংসও করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কোনো পণ্য বন্দরে এলে দ্রুত খালাসের চেষ্টা করা হয়। ফেলে রাখলে কোনো সুবিধা পায় না বন্দর। উল্টো রাজস্ব হারায় সরকার।

রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) দাবি, শুল্ক ছাড়ের নানা কারসাজি করতে গিয়ে ইউরোপ থেকে আমদানি করা গাড়িই সবচেয়ে বেশি কাস্টমসে আটকা পড়ছে। আমদানিকারক কৌশলে শুল্ক কম দিয়ে গাড়ি ছাড় করার আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে গাড়ি আমদানি করেন। পরবর্তীতে শুল্কহারসহ মূল্য বেশি পড়ে যাওয়ায় করছেন না গাড়ি ছাড়। বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন শেডে ৯০০ গাড়ি রয়েছে।

বারভিডার সহসভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিলামে ডিএটির চেয়ে কিছু টাকা বেশি পেলেই গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া উচিত। না হলে এভাবে গাড়ির স্তূপ তৈরি হতে থাকবে।

এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শেড স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রির জন্য কাটা ৭৪টি গাড়ির ধ্বংসাবশেষসহ পরিপূর্ণ হয়ে আছে পুরানো জিনিসে। নানা জটিলতায় গাড়ির স্ক্র্যাপ কিংবা অন্যান্য মালামাল বিক্রি করতে না পারায় বন্দরের শেড থেকে গাড়িগুলোও আনতে পারছে না চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ।

সদ্যবিলুপ্ত দ্বাদশ সংসদের ২৪ জন সাবেক সংসদ সদস্যের নামে আমদানি করা ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজারসহ ৪০০টি গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য বাই পেপার হস্তান্তর করা হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কাছে।

অবশেষে নিলাম শেডে থাকা স্ক্র্যাপ পণ্যগুলো বিক্রি করে এসব গাড়ি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টম হাউজ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, কাস্টম হাউজের নিলাম শেডে থাকা কিছু মালামাল স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এটি করা গেলে কিছু গাড়ি এনে রাখা যাবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on tumblr
Tumblr
Share on telegram
Telegram

, , বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ