বৃহস্পতিবার, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

৭২ ঘন্টার মধ্যে ক্যাম্পাস খোলার দাবি

কুবি প্রতিনিধি : অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খোলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ (১৭তম আবর্তন) বর্ষের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি পোস্ট থেকে বিষয়টি জানা যায়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষক সমিতির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে গত ৩০ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কেবল অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা’ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখাটা শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এতে করে আমাদের সেশন জটে পড়ার তীব্র আশঙ্কা অনুভব করছি।’

বিবৃতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখিত ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ফারুক আল নাহিয়ান, গণিত বিভাগের আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আইন বিভাগের মো. তানভীর হাসান, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের খান জাহান আলী, অ্যাকাউন্টটি অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের কামরুল হাসান ফাহিম, বাংলা বিভাগের আরাফাত হোসেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দেলোয়ার হোসেন, আইসিটি বিভাগের মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন, রসায়ন বিভাগের মোহাম্মদ রেদোয়ান, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের মেহরাব হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জুবায়েদ হোসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের শুভ।

এই ব্যাপারে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক আল নাহিয়ান বলেন, আমাদের দাবি খুবই স্বচ্ছ। সেশন জট থেকে রক্ষা পেতে আমরা আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি সঠিক সময়ে মানা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জুবায়েদ হোসাইন বলেন, ‘এই বিষয়ে দীর্ঘদিন আমাদের ক্যাম্পাস বন্ধ। যেটা আমাদের মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন একজন ছাত্রের অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার শেষ স্টেজ বলা যায়। সবাই পড়াশোনা শেষ করে চাকরির বাজারে ঢুকবে। এ সময় এত টাল-বাহনা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে। তাই আমাদের ১৭ ব্যাচের দাবি অতিশ্রীগই ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসছি, নাটক দেখতে না।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ