
রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নামটা যেমন সুন্দর ভিতরে পরিবেশটা ততটা সুন্দর না।
সরকারি আদেশকে বেশিভাগ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো আইন তৈরি করে পরিচালনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তার ভয়ে কোনো কর্মচারী বা কর্মকর্তা কোনো তথ্য প্রকাশ করেন না।
পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃর্বিভাগে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ব্যতিক্রম একটি চিত্র । প্রতিবন্ধী রোগী টিকিটের জন্য আধা ঘন্টা যাবত দাঁড়িয়ে আছে অথচ টিকিট প্রদানকারী টিকিট না দিয়ে কম্পিউটারে ইউটিউবে শর্ট ভিডিও দেখায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্যে সরকার নির্ধারিত ফি বাবদ ২৫০ টাকা করে নেয়া হলেও গত দুই মাস থেকে দেওয়া হয় না কোনো রশিদ।
দায়িত্ব থাকা কর্মচারীরা বলেন, আমরা একাধিক বার বলেছি কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।
গত ২২ জুন দেশের বিভিন্ন অনলাইনে ও ২৩ জুন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হয় পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাড়পত্র থেকে অপসারণ হয়নি মুজিব শতবর্ষের ছবি। পরে স্থানীয় ছাত্র প্রতিনিধি দল সোমবার সকাল সাড়ে দশটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শনে আসেন। সে সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রাশেদুল হাসান শাওনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় একটি বৈঠক চলে।
সেই সময় ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিকো মন্ডল, মেহেদি হাসান, জয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান বিজয়, মিডিয়া সেল এর আহ্বায়ক শাহ্ সোহানুর রহমান। এছাড়া ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে আশিকুর রহমান, ইয়াসির আরাফাত প্রিন্স, শিহাব উদ্দিন,মাহফুজ বিজয় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে একাধিক ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, আমাদের এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিষয়ে পূর্বেও নানা রকমের অনিয়ম, দুর্নীতির খবর আমরা শুনেছি বা জানি। গতকালকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত ছাড়পত্রের খবরটা শুনে আমরা হতবাক হই। এছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা মান খাবারের মান এবং রোগীদের সেবার মান নিয়ে। দীর্ঘ সময়ে আলোচনা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাদের বলেন, যে সকল বিষয় অভিযোগ আছে আমাকে লিখিতভাবে দিন আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো। এই সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা রাশেদুল হাসান শাওনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।