সিনিয়র প্রতিবেদক : অননুমোদিত ভূঁইফোড় অনলাইন ‘ভোলাবাণী ডট কম’ প্রকাশিত ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ প্রতিবেদনের বিষয়টি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা কাজী মামুনুর রহমান মাহিম এবং বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা জাহান মক্কেলদ্বয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তাদের আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
‘ভোলাবাণী ডট কম’ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে ‘মিথ্যা ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান এবং বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা জাহান।
অ্যাডভোকেট নিশান বলেছেন, ‘আমার মক্কেল কাজী মাহিম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ও স্বীকৃত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ওয়ার্ড শাখা থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ন্যায়নিষ্ঠার সাথে সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে, সফলতার সঙ্গে সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্ররাজনীতিতে আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শ বাস্তবায়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল বিনয়ী, পরোপকারী, সৎ-সাহসী, নিরহংকার ব্যক্তিত্বে হাসিমুখে ভালোবাসা দিয়ে জয় করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের হৃদয়। মানুষের বিপদ-আপদে পাশে থেকে আস্থা ও বিশ্বাস, গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে সবার মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি পেশাগতভাবে সাংবাদিকতার নৈতিকতার জায়গায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে বাংলাদেশ সচিবালয় ও আওয়ামীলীগ বিটে নিয়োজিত রয়েছেন। রাজনৈকিত পরিচয়ের বাহিরে তিনি একজন মূলধারার সংবাদকর্মী এবং সমাজকর্মী। সমাজের প্রান্তিক, অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করে আসছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সর্বমহলে রয়েছে তার ঈর্শনীয় জনপ্রিয়তা।
কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক আমার মক্কেলের ছবি অসৎ উদ্দেশ্যে যোগাযোগ না করেই ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করে ‘ভোলাবাণী ডট কম’ নামে (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন নেই) ভূঁইফোড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রকাশ করে। প্রতিবেদককে প্রভাবিত করে ইচ্ছেকৃতভাবে প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তমূলক তথ্য পরিবেশন ও সংবাদ প্রচার করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ সাজানো, পূর্বপরিকল্পিত ও চক্রান্ত ষড়যন্ত্রেরই অংশ। সামাজিকভাবে আমার মক্কেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে সেই প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করেছে।
একই বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা জাহান।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন প্রকাশ যুদ্ধাপরাধী সাঈদী কাণ্ডে মুখোশ উন্মোচিত বিতর্কিত ব্যক্তির উদ্দেশ্য হাসিল করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।’
সাধারণ সম্পাদক সানজিদা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী রাজাকার সাঈদী কাণ্ডে মুখোশ উন্মোচিত, অসৎ ও কলুষিত চরিত্রের অধিকারী, স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিজের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে না পেরে ‘পরশ্রীকাতর’ হয়ে আমাদের কমিটির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই চক্রান্ত ষড়যন্ত্রেলিপ্ত। এবছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন সেন্ট্রাল ল’ কলেজ শাখার ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির (ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান) সক্রিয় নেতাকর্মীদের উপস্থিত হতে নিষেধকরার সুস্পষ্ট অভিযোগসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সেন্ট্রাল ল’ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রেজাউল হাসান পারভেজকে বহিস্কার করা হয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ এপ্রিলে উক্ত কমিটি গঠিত হওয়ার পর কখনো ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যায়নি; উক্ত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেন্ট্রাল ল’ কলেজ শাখার পক্ষথেকে কখনোই জাতীয় দিবসের কর্মসূচি আজ পর্যন্ত পালন করেনি। এখানে আরও উল্লেখ্য যে, ‘দ্বিতীয় রমজান বুধবার (১৩ মার্চ) গণভবনের বৈঠকে মমতাময়ী নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা “ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন” একইসাথে সেইদিনই উক্ত নির্দেশনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও।’ আমরাও সেই নির্দেশনা অনুযায়ী (১৭ মার্চ) জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। গত ৮ বছরের ইতিহাসে ঐতিহ্যবাহী সেন্ট্রাল ল’ কলেজে বিএনপি-জামাত পন্থী সরকার বিরোধীরা নামে-বেনামে কখনোই কলেজে কোনো প্রোগ্রাম করতে পারেনি কিন্তু ২২ মার্চ সংগঠনের দায়িত্বশীল জায়গা থেকে পারভেজ নিজথেকে সেই সুযোগ করে দেওয়াসহ সরকার বিরোধীদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে ইফতার পার্টিতে প্রকাশ্যে অংশগ্রহন করেন। সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২৫ মার্চ আবারও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির বিরোধিতা করে ২৯ মার্চ ইফতার পার্টি আয়োজনের জন্য ও ইফতার পার্টি সফল করার জন্য ২৫ মার্চ কলেজ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্দেশনা দেওয়াসহ, নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করাসহ জাতীয় দিবস পালনে নিষেধকরায় সেন্ট্রাল ল’ কলেজ শাখার ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সক্রিয় নেতাকর্মীদের সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং (২৭ মার্চ) খন্দকার রেজাউল হাসান (পারভেজ) নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করেন সেন্ট্রাল ল’ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন (যার স্ক্রিনশট প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে)। সংগঠনের বৃহৎস্বার্থে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করাসহ আমাদের দুজনের স্বাক্ষরিত একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ২৭ মার্চ গঠিত সেই আহ্বায়ক কমিটির প্রতিনিধি পরেরদিন ২৮ মার্চ নির্ধারিত সময় সকাল ৭টা ১মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান এবং আইনাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শ বাস্তবায়ন ও বিএনপি-জামাত-শিবিরের প্রেতাত্মা রুখে দিতে শপথ নেন। আমাদের সভাপতি মাহিম ভাই ও আমি কোনো অন্যায় কিছু করেনি। আমরা পিতা মুজিবের নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এসেছি। আমার নেত্রীর সিদ্ধান্তকে তাচ্ছিল্য করে সরকার বিরোধীদের সাথে প্রকাশ্যে ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহন, জাতীয় দিবসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করায় ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের কাছে কোনো ধরনের অন্যায়কে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই।’
পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী সাঈদী কাণ্ডে মুখোশ উন্মোচিত বিতর্কিত রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিজেদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ঢাকা হতে বিজ্ঞপ্তি ভোলায় ২দিন পর প্রকাশ যা ষড়যন্ত্রেরই অংশ। প্রকৃতপক্ষে প্রতিবেদক মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে বিচ্যুত ও অশুভ চিন্তাধারার যুদ্ধাপরাধী সাঈদী কাণ্ডে বিতর্কিত ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার এহেন যোগসাজশের বিষয়টি অনাকাঙ্খিতভাবে প্রকাশ্যে আসে। (যার ছবি, প্রমাণ সংরক্ষিত রয়েছে)
অ্যাডভোকেট নিশান বলেন, ভোলাবাণী ডট কম প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাংগঠনিক নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া নিয়মে কথিত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের সভাপতি দাবী করে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে জনৈক সেলিমুর রহমান সেখানে জানান, (যার স্ক্রিনশট সংরক্ষিত রয়েছে) ‘সংশোধন হওয়ার সুযোগ দেয়ার পরেও তিনি সংশোধন না হয়ে দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যান। তার একাধিক অপরাধ আমাদের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে প্রমানিত হওয়ায় তাকে অত্র সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।’ সেই প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, ‘মশিউর রহমান মোল্লাকে ফোন দিলে তিনিও একই কথা জানান’ প্রকৃতপক্ষে উভয়ই ‘পক্ষপাতমূলক’ মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে সেলিমুর রহমানকে একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি কল ধরেননি। ‘মশিউর রহমান মোল্লার সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করা হলে এবিষয়ে উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ভাই আমি মিটিংয়ে আছি, পরে ফোন দেওয়ার কথা বলে কল কেটে দেন। পরবর্তীতে বিরতি দিয়ে একাদিকবার ফোন দিলেও তিনি কল ধরেননি।
এ বিষয়ে স্পষ্টত বলতে চাই, বাস্তবে তাদের দাবী করা এধরণের কোনো ঘটনার সত্যতা নেই। আমার মক্কেলদ্বয়কে সেলিম-মশিউর কোনোধরণের কারণ দর্শানোর নোটিশ, তদন্ত কমিটির নোটিশের কপি দিয়েছে মর্মে মাহিম-সানজিদা স্বাক্ষরিত কোনো প্রকার রিসিভ কপিই দেখাতে পারবেনা। অ্যাডভোকেট নিশান আরও বলেন, সেলিমুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি নিজেও আমার কাছে স্বীকার করেন কোনো নোটিশ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেননি (যার অডিও রেকর্ড যায়যায়কালের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে)। এমনকি ভোলাবাণী ডট কম কর্তৃপক্ষ আমার মক্কেলদ্বয়ের কারো সাথেই কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি।
কতিপয় গণমাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা কাজী মাহিম এবং বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা জাহান নেতৃদ্বয়ের আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নাসিদুস জামান নিশান। আগামী ২ বছর কমিটির মেয়াদ অতিবাহিত না হওয়া পযর্ন্ত সাংগঠনিক নিয়মনীতির বাহিরে নিজেদের মনগড়া নিয়মে কথিত বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্ত করার ভিত্তি নেই। আমরা দৃঢ়তার সাথে আশ্বস্ত করতে চাই, সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে মর্মে যদি প্রমান দিতে পারেন তাহলে আইনগত ভাবে মোকাবেলা করতে দৃঢ়চিত্তে প্রস্তুত। তাই সকল সম্মানিত শিক্ষার্থী, নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীকে এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।