শাহদাৎ হোসেন লাল, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গভীর রাতে জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে ঢুকে সকলের হাত-বেঁধে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় বাড়িওয়ালার ছেলেকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যার পর টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে সশস্ত্র ডাকাত দল।
সোমবার গভীর রাতে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের সুপারী ব্যবসায়ী শফি উদ্দিনের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম হামিদুল ইসলাম আলে (৩০)।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সানোয়ার হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ ও বাড়ির মালিক শফি উদ্দিন জানায়, রাত দুইটার দিকে ১০/১২ জন মুখোশ পরা সসস্ত্র ডাকাত রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই তারা শফি উদ্দিন, তার স্ত্রী হাসিনা বেগম, ছেলে হামিদুল ইসলাম আলেফ, আনিছুর রহমান এবং ছেলের বউ সোমাইয়া বেগমসহ সকলের হাত-পা, মুখ বেঁধে মারধর করতে করতে টাকা ও স্বর্ণালংকার কোথায় আছে দেখিয়ে দিতে বলে। এক পর্যায়ে তারা ড্রয়ারে থাকা ১০/১২ হাজার টাকা, পাঁচ-ছয় ভরি স্বর্ণালংকার এবং মহিলাদের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার আরও দুই-তিন ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাড়িওয়ালার ছেলে হামিদুল ইসলাম আলেফ ডাকাত দলের সদস্যদের চিনে ফেলায় তাকে বেদম মারধর করে মুখে কাপড় গুজে দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।
শফি উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম বলেন, তারা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেয়ার পরও আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে মারধর করে নাক, মুখ, গলা চেপে ধরে হত্যা করে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমার ছেলের হত্যাকারীদের যেন দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। ডাকাতির ঘটনায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনুসন্ধান করে এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।