নিজস্ব প্রতিবেদক : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের কাঁঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, কলেজের ইংরেজি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জাবের বিন জাফর, ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন ছাবের, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষ রিয়াজ উদ্দীন, অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল মাজেদ ফয়সাল, ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিবি তাজোয়ার, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এরফান আলম, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি, ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের মিজান ও ইশতিয়াক। আহত সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তাঁর অনুসারীরা। এমনকি প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তাঁরা মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তাঁরা গায়ে পড়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাঁদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তবে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, সভাপতি মাহমুদুল করিম কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করছে। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তো তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় তিন মাস ধরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী না। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগে আছে।