রবিবার, ২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

দিনাজপুরে শীতে বেড়েছে ডায়রিয়া, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট

খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর: হাড় কাঁপানো শীতে বিশেষ করে দিনাজপুরের বিরামপুরসহ বেশ কিছু জায়গার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছেন। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অন্যদিকে কলেরা স্যালাইন সংকটে পড়েছে হাসপাতালে।

মঙ্গলবার বিরামপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকগুলো ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স সুপারভাইজার জুলেখা বেগম বলেন, প্রায় ৩ মাস ধরে কলেরা স্যালাইন, ক্যানোলা, টেপ এবং অন্যান্য ওষুধ সংকট চলছে। নভেম্বরের শুরু থেকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছেন প্রায় ২৪৭ জন। এ ছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এদের মধ্যে বয়স্করা ৫-৬ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও শিশু ওয়ার্ডে এখনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।

বিরামপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার রবিন বাদশার ছেলে ওসমান আহমেদ (১০ মাস) ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৫ দিন আগে। এখনো তার চিকিৎসা চলছে। রবিন বাদশা জানান, হাসপাতাল থেকে কোনো কলেরার স্যালাইন পাননি। বাইরের দোকান থেকে কিনে নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।

উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের রুবেল মিয়ার শিশু কন্যা রওজাতুন জান্নাত (১৮ মাস) তিন ধরে শ্বাস কষ্ট, সর্দি জ্বর, কাশি নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে হাছান আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬৫) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিসকিনি গ্রামের মৃত ছামছুদ্দিনের স্ত্রী জিন্নাতুন বেওয়া (৯০) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তারা জানান, হাসপাতালে স্যালাইন সংকট থাকায় বাইরে থেকে স্যালাইন আনতে হচ্ছে।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহরিয়ার কবির পারভেজ বলেন, আমি উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য বগুড়াতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম। হাসপাতালে যোগদান করার পরে দেখি অল্প কিছু কলেরা স্যালাইন ছিল। বর্তমানে কোনো স্যালাইনই স্টকে নেই। স্যালাইনের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ওষুধেরও সংকট রয়েছে। হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় রোগীদের বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন আনতে হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ