আরাফাত খাঁন, বান্দরবান: পার্বত্য বান্দরবানে একটু দেরিতে হলেও জেঁকে বসছে শীত। পাহাড়ে শীতকালীন সময়ের আমেজ বলে দেয় শীতার্ত সন্ধ্যা মানে সবুজের আড়ালে চারিদিকে কুয়াশাছন্ন। শীতের ভোরবেলা ঠান্ডা বাতাসে প্রকৃতি নতুন রূপে ফিরে আসে৷
ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পার্বত্য জনপদ। শীতের আমেজ শুরু হতেই বাজারের দোকান গুলোতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। সকাল থেকে রাত অবধি ক্রেতাদের চাহিদা মতে নানা ধরনের শীতের পোশাক কিনছে।সারাদিন ক্রেতাদের আনাগোনা খুশি বিক্রেতা।
শীতের তীব্রতায় বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। শীতের এসময়ে চাহিদা মতো বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, মাফলার, চাদর, কম্বল কিনতে ক্রেতা ছুটছে শীতকালীন কাপড় বিক্রিয়ের দোকানে। জেলা সদরের কে এস প্রু মার্কেট, বার্মিজ মার্কেট, হ্লাহ্লা বার্মিজ মার্কেট, চৌধুরী মার্কেট, বালাঘাটা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এ শীতের পোশাক। বিশেষ করে তরুণদের চাহিদা নতুন ডিজাইনের ফ্যাশনেবল পোশাকের দিকে। নিম্ন-মধ্যবিত্তরা চাহিদা মতো শীতের কাপড় কিনতে জড়ো হচ্ছে। শুধু মার্কেটে নয়, ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেচাকেনা বেড়েছে।
২০২৫ সালের প্রথম দিনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বান্দরবান বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক এর পাশে বসেছে শীতের কাপড়ের নানান দোকান।
বান্দরবান চৌধুরী মার্কেট দোকানদার মো. আবু তাহেরের সাথে কথা বলে জানা যায়,আমাদের ব্যবসা মূলত শীতকালীন।শীতের প্রকোপ বাড়লে ক্রেতাদের চাহিদা বাড়ে।২০২৪ এর নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বেচাকেনা চলবে মার্চ পর্যন্ত। শীতের প্রকোপ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। মূলত ছেলেদের জ্যাকেট, শীতের ফানেল শার্ট, জিন্স প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সোয়েটার ও মেয়েদের বিভিন্ন রকমের শাল চলছে পুরোদমে।
শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতা মো. হাসান বলেন, এখনই শীতের পোশাক কেনার সময়। নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্যও কিনতে এসেছি। পাহাড়ে এখন বেশি শীত পড়ছে। সন্ধ্যা নামলেই শীতের প্রকোপ দেখা যায়। বেশি রাত হলে শীত আরও বাড়তে থাকে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল জানান, গত এক সপ্তাহে বান্দরবানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গড়ে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।