শাহ্ সোহানুর রহমান, রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া জিউপাড়া ইউনিয়নের গাওপাড়া ঢালান এলাকায় স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে দেবর আব্দুল খালেকের শ্লীলতাহানির স্বীকার হউন বলে অভিযোগ তুলেছেন লতা বেগম নামের এক নারী।
সোমবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েকমাস থেকে এই মহিলা তার স্বামীর বাড়িতে উঠার জন্য থানা ও পৌরসভাসহ বিভিন্নস্থানে চেষ্টা চালায়। কিন্তু কেউই স্বামীর বাড়ির বিষয়ে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে দ্বারস্থ হন তিনি। তারা আশ্বাসও দেন তাকে সঠিক সমাধান করে দেবেন। কিন্তু তার দেবর টাকা-পয়সা দিয়ে সব জায়গায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কারণে কোনো বিচার না পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি তার স্বামীর বাড়িতে উঠেন। কিন্তু সেই বাড়িতে থাকেন তার দেবর আব্দুল খালেক। বাড়িতে লতা বেগমের আসাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে একজন দর্জি এসে পেছন থেকে লতাকে ঝাপটে ধরে এবং লতার দেবর আব্দুল খালেক তার শ্লীলতাহানিরর চেষ্টা করে।
পরে তার চিৎকারে অনেক মানুষজন উপস্থিত হলে দর্জি সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং তার দেবর স্থানীয় বখাটে ছেলেপেলে ডেকে এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ আসলে বহিরাগত ছেলেরা সেই বাড়ির বারান্দার লাইট অফ করে মেয়েটিকে পুলিশের সামনে টেনে হেঁচড়ে রাস্তাতে নিয়ে আসে। কিন্তু পুলিশ এই অবস্থাতেও মহিলার পক্ষে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টো তাকে জনসম্মুখে বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্থ করে পুঠিয়া থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন বলেন, রাত ১১টার দিকে ওই মহিলাকে থানায় আনা হয়েছে। তার দাবি সম্পর্কে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।