বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম: বছরের প্রথম দিন চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা। সরবরাহ করা হয়েছে প্রথম থেকে ৩য় শ্রেণির পাঠ্যবই। তবে শিক্ষার্থীদের কেউ পেয়েছে একটি, কেউবা পেয়েছে দুটি বই। এতেই খুশি তারা। তবে ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে।
আর ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের সব বই বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এছাড়া আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া মাধ্যমিকের কয়েকটি শ্রেণির বই সরবরাহ করা হয়েছে চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে।
মাধ্যমিকের দুই থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৭টি বই সরবরাহ করা হয়েছে স্কুলগুলোতে। বেশিরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম ৫ জানুয়ারি শুরু হবে। এরপর থেকে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ধীরে ধীরে সরবরাহ করা হবে।
নগরের কোতোয়ালী ও পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির সাতটি বই পাচ্ছে। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়া হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ৬ থানা শিক্ষা অফিস ও সব উপজেলা মিলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ জন। আর এবার নতুন বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ কপি। এর মধ্যে বছরের প্রথম দিনই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যদিও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও বই না আসায় শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, প্রথমদিন ১ম, ২য় ও ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। সব বই না পেলেও প্রথমদিনে একটি বই হলেও পাবে। আশা করছি, ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা। নগরের বাকলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের উঁকি। এরই মধ্যে নতুন বই হাতে পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। বই পেয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে কেউ মাঠে আবার কেউ স্কুলের বারান্দায় বসে নতুন বইয়ের মলাট উল্টিয়ে দেখছে।
কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতেই স্কুল শিক্ষার্থী রাইছা বললো, নতুন বই পেয়ে আমার খুব খুশি লাগছে। এখানে দেখছি। বাসায় গিয়ে আবারও দেখবো। আমার কাছে অনেক আনন্দ লাগছে, খুব ভালো লাগছে।
একই বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ বললো, নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পেয়ে খুব ভালো লাগছে। বাসায় গিয়ে পড়বো। তানিয়া নামের ২য় শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী বললো, নতুন বছর, নতুন বই। খুব আনন্দ লাগছে।
বাকলিয়া আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফসা জানালো, নতুন দিন নতুন বই। আজকের দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বই পেয়ে খুব খুশি লাগছে। বাসায় গিয়ে বাঁধাই করবো।