নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরায় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলায় একই পরিবারের ১৫ জন আহত হয়েছে৷
শনিবার (১৩ মে) বিকাল ৫টার দিকে সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের পশ্চিম পাড়া খন্দকার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জয়দুন্নেছা (৫৫), রোকসানা বেগম (৫২), নাদিরা বেগম (৪০), মর্জিনা বেগম (৩৮), রুকসানা আক্তার (২২), শারমিন (৩৫), উজ্জ্বল (২৮), লামিয়া (৮), সানজিদা (১১), মার্জিয়া (১২) ও ইসরাফিল (২)৷
এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত ৬ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে ও হামলার শিকার আহত উজ্জ্বল মিয়া বলেন, আজকে বিকেলে খন্দকার বাড়ির তার চাচা আলী হোসেনের ছেলে জহির, আলামিন ও আরেক চাচা মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে জামাত-শিবিরের নেতা হাসমতসহ হাবিব মাস্টারের ছেলে রাশেদ ও আলামীনের ছেলে নিয়াজ ৫০-৬০ জন সন্ত্রাস নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করেন। এ হামলায় আমাদের মা-চাচীসহ ১৫ জন আহত হয়। আহত অবস্থায় সবাইকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়৷
উজ্জ্বল আরও বলেন, খন্দকার বাড়ির দক্ষিন পাশের ৯ শতাংশ ও ৪ শতাংশ যায়গা বেচাকেনা নিয়ে আলী হোসেনের সাথে অনেকদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলছে। আলী হোসেন আমাদের চাচা হয়েও যায়গাটি জামাত-শিবিরের নেতা হাসমত খন্দকার ও বখাটে রাশেদের কাছে হস্তান্তর করেন। তা কোন ভাবে সহ্যযোগ্য নয়। কিভাবে এত গুলো মহিলাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন তারা। এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও যুবলীগ নেতা মহসিন খন্দকার বলেন, জামাত-শিবিরের নেতা হাসমত খন্দকার হেফাজত তান্ডবের পুলিশ লাইনের মামলার প্রধান আসামী। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাও আছে। আজকে হাসমত খন্দকার হেফাজতের তান্ডবের মত নিরীহ মানুষের উপর হামলা করেছে। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের সাপেক্ষে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।