
খাঁন মো. আ. মজিদ, দিনাজপুর : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে একদিনে ৪৫১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও কমেনি দাম।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজের বাজারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। তবে ৪০ শতাংশ শুল্কায়নে এসব পেঁয়াজ আমদানিকরা হচ্ছে।
এতে করে প্রতিকেজি পেঁয়াজের অতিরিক্ত ২৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৬টি ট্রাকে ৪৫১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
রোববার হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন সপ্তাহ আগে দেশীয় পেঁয়াজ ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সেই আজ পেঁয়াজ মানভেদে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মোকামগুলোতে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়া দাম বাড়তে বাড়তে এখন দেশীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই দেশের বাজারের স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
তবে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ খানিকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যেখানে ২ থেকে ৪টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল। এখন সেখানে গত ১০ জুলাই ভারতীয় ১৪টি ট্রাকে ৪০৭ টন, পরদিন বৃহস্পতিবার ১০টি ট্রাকে ২৯৪ টন এবং চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন শনিবার একদিনেই ১৬টি ট্রাকে ৪৫১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি বন্দর দিয়ে।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের দৈনন্দিন আয়ও বাড়বে।