এম কামাল উদ্দিন, রাউজান: রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নে গত কয়েকদিনের বন্যায় বিধ্বস্ত মগদাই ডা: রাজা মিয়া সার্বজনীন সড়ক সংস্কারে স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার সমাজকর্মী মোহাম্মদ লিয়াকত আলী চৌধুরী, সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন রানা, স্থানীয় যুবক মহিউদ্দিন, ইকবাল, এসকান্দর, রফিক, নুরুল হুদাসহ অন্তত ৬০/৭০ জন মানুষ সংস্কার কাজে ব্যস্ত। কেউ বালির সাথে সিমেন্ট মিক্সিং করছে, কেউ কংক্রিটের বস্তা সড়কের উভয় পাশে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে যাচ্ছে, কেউ সড়কের উভয় পাশে ভাঙন প্রতিরোধমূলক কাজে ব্যস্ত। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন প্রাইমারি পড়ুয়া বেশ কিছু শিক্ষার্থী। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টানা কয়েক ঘন্টার মধ্যে সড়ক মানুষের চলাচল উপযোগী হয়।
সোমবার সকাল থেকেই বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মাইজপাড়া গ্রামের কাশেম আলী সওদাগর বাড়ির প্রায় ৫০ ফুট অংশে সিমেন্ট-বালুভর্তি বস্তা ফেলে সড়কটি মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে নেমে পড়েন স্থানীয়রা। এ সময় উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সড়ক মেরামতে কাজ করতে দেখা যায় তাদের।
স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার ৫ শতাধিক পরিবারের চলাচলে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘরবন্দী হয়ে পড়ে কয়েক শতাধিক পরিবার। এলাকার মানুষের ভোগান্তি দেখে সড়কের একাধিক স্থান সম্পূর্ণ বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রথমে সড়কের বিধ্বস্ত অংশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন এলাকার যুবকরা।
পরে স্থানীয় লোকজনের চলাচলের অসুবিধা দেখা নিজেদের উদ্যোগে সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে নেমে পড়েন। তাদের এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা জাফর সওদাগর বলেন, এই মানবিক কাজে শারিরীক শ্রম দিতে না পারলেও স্বশরীরে তাদের পাশে থেকে অন্তর থেকে দোয়া করছি।
মানবিক এই কাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় সমাজকর্মী লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, ইতিপূর্বেও এলাকার প্রতিটি সংকটে স্থানীয় যুবকরা এগিয়ে আসেন। তাদের এই প্রচেষ্টা মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে সড়ক সংস্কারে সরকারি বরাদ্দ নয়ছয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ঠিকাদাররা। নিন্মমানের সংস্কার কাজের ফলে বর্ষা মৌসুমে সড়টির একাধিক স্থান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।