শনিবার, ১৪ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৮শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

খড়খড়ি বাজারে চাঁদাবাজির তদন্তে পবা উপজেলা কমিটি

filter: 0; fileterIntensity: 0.0; filterMask: 0; captureOrientation: 0; module: photo; hw-remosaic: false; touch: (0.51666665, 0.59930557); modeInfo: ; sceneMode: 128; cct_value: 5500; AI_Scene: (-1, -1); aec_lux: 105.0; aec_lux_index: 0; hist255: 0.0; hist252~255: 0.0; hist0~15: 0.0; albedo: ; confidence: ; motionLevel: 0; weatherinfo: null; temperature: 38;

নাঈম হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহীর পবা খড়খড়ি বাইপাস বাজারে ইজারার নামে চাঁদাবাজি, ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও ব্যবসায়ীদের মারধরসহ নানা রকমভাবে হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি সরেজমিন বাজার পরিদর্শন করেছে। এরআগে এ সকল অভিযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদানের মতো একাধিক আন্দোলন কর্মসূচী করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

এরপর গত বুধবার শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা একত্রে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ গুলো তুলে ধরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।

এ ঘটনায় পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় খড়খড়ি বাজার পরিদর্শনে আসে উপজেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল। এ প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন ও সকল ব্যবসায়ীদের থেকে হাট ইজারার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে। প্রতিনিধি দলের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত কয়েক শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

তদন্ত চলাকালীন খড়খড়ি বাইপাসের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, গত দুই বছর থেকে সেনাবাহিনীর ৪ জন কর্মকতার পরিচয় ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সহযোগীতায় এমন অনিয়ম সংগঠিত হতো। হাটের ইজারাদার পারিলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন্টু। তাদের নির্দেশেই মূলত ব্যবসায়ীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হতো। এই কয়েক বছর আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ভয়ে আমরা মুখ খুলতে পরিনি। রশিদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ না দিলে ব্যবসায়ীদের লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার মতো ঘটনাও ছিলো চোখে পড়ার মতো।

এসময় উপস্থিত বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, ব্যবসায়ীরা ইজারাদারদের নামে যেসকল অভিযোগ এনেছে তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখেছি এবং এর সত্যতাও মিলেছে। গ্যারেজ ভাড়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ, ব্যবসায়ীদের দোকান বসাতে ও মালামাল ক্রয় বিক্রয়ে রশিদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হতো। আমাদের কাছে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য রয়েছে যেমন, রশিদে উল্লেখ্য ২০,৩০ ও ৫০ টাকা আদায় থাকলেও ব্যবসায়ীদের থেকে নেওয়া হতো ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

ইজারাদারদের এমন দুর্নীতির ফলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতো। ফলে সকল কিছু মিলিয়ে বাজারের ভারসাম্য রক্ষা দুরহ্ হয়ে পড়তো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সরেজমিন তদন্তকারী কর্মকতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সরেজমিন তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিবো। তার প্রেক্ষিতে ঘটে যাওয়া ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট থেকে হাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ এনে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচীতে নামে ব্যবসায়ী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল, গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদানের ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে ফলাওভাবে প্রচারিত হলে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি প্রেরণ করে পবা উপজেলা পরিষদ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ