
আল আমিন, ভালুকা (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শহিদ মিয়াকে (৪৫) আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের জনৈক অটোচালকের ত্রিশাল ভালুকা মৈত্রী ডিগ্রি কলেজে পড়ুয়া ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে প্রতিবেশি মৃত হাজী হাফিজ উদ্দিনের ছেলে শহিদ মিয়া ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে আসলে শহিদ মিয়া পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস মীমাংসার চেষ্টা করেও বিচার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী নূর খান নোটিশের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তকে তার কার্যালেয়ে হাজির হওয়ার নোটিশ প্রদান করেন। এসময় অভিযুক্তের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ভেতর থেকে বের হওয়ার সময় অভিযুক্ত শহিদ মিয়ার স্ত্রী দুলেনা খাতুন ভিকটিমের পক্ষের স্বাক্ষী আব্দুল কাদেরসহ দুইজনকে জুতাপেটা করেন। ঘটনাটি নির্বাহী অফিসার সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে শহিদ মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে শহিদ মিয়াকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামছুল হুদা খান জানান, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী নূর খান জানান, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় দুই পক্ষকে মীমাংসার জন্য ডাকা হয়েছিল। কার্যালয়ের ভেতর অভিযুক্ত ও তার পরিবার মারমুখী হয়ে উঠে। বিষয়টি যেহেতু ফৌজদারি অপরাধ এবং তার কার্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই থানায় খবর দিয়ে তাদের কয়েকজনকে পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।