
মিনহাজ আলী, শিবগঞ্জ (বগুড়া): বগুড়ার শিবগঞ্জে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার দেউলী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণে এ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভিজিএফের চাল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে করতে বাড়িতে যাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। কেউ বলেছেন ৭ কেজি কেউ বলেছেন ৮ কেজি চাল পাইছে। এমনকি চালের ওজন মাপার জন্য ডিজিটাল স্কেল মেশিন ব্যবহার করা হয়নি। একটি বালতিতে করে মনগড়াভাবে চাল বিতরণ করা হয়।
একাধিক উপকারভোগী জানান, প্রত্যেক দরিদ্র উপকারভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৭-৯ কেজি করে দেওয়া হয়েছে। বালতিতে মেপে চাল দিয়েছে। পরে মেপে দেখা যায়, প্রত্যেককেই চাল কম দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মোশেদা বেওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাউল নিবার যায়া দেখি সেই ভীড়। অনেক কষ্টে লাইনে দাঁড়িয়ে চাউল নিলেম। চাউল দিলো বালতি দিয়ে। বাড়িত আনে মাপে দেকি সাড়ে সাত সের। আড়াই কেজি চাউলই কম। ওরা বেশি করে খাক।
ইউনিয়নের রহবল (হাজিপাড়া) গ্রামের পারভেজ বলেন, ১০ কেজির জায়গায় ৭ কেজি চাল দিয়েছে। যেখানে ৩ কেজি চাল নেই।
ইউনিয়নের কান্দুপাড়া গ্রামের আরেকজন বলেন, কাউকে ৭ কেজি, কাউকে ৮ কেজি আবার কাউকে ১০ কেজিও দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আগে থেকে যাদেরকে পরিচয় করে দেয়া হয়েছে তাদেরকে ১০ কেজি করেই দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য নেয়ার পর বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এই প্রতিবেদককে ফোন দেন। এসময় চেয়ারম্যান এই প্রতিবেদকের সাথে অশোভন আচরণ করে বলেন যে, আপনি ইউএনও’কে কেনো ফোন দিয়েছেন? আপনি পরিষদে আসেন। আপনার সাথে আমার ঝামেলা হবে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, বিতরণে অনিয়মের খবর পেয়ে আমি ওই ইউনিয়ন পরিষদে লোক পাঠিয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।