
যায়যায়কাল প্রতিবেদক: রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। এসময় ৩৫-৪০ জনের একটি দল সেখানে ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয়।
জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী শনিবার এ তথ্য জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আমাদের কার্যালয়ের নিচতলার লাইব্রেরির কিছু বই পুড়িয়ে দিয়েছে।’
অপরদিকে, জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শনিবার ঢাকার উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে তার বাড়ির সামনে ‘সাধারণ মানুষ ও উত্তরার শিক্ষার্থীরা’ ব্যানারে একদল লোক বিক্ষোভ করেছে ও তার কুশপুতুল পুড়িয়েছে।
বিক্ষুব্ধরা এসময় জাপাকে ‘পতিত আওয়ামী লীগের সহযোগী’ উল্লেখ করে দলটিকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানায়।
খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই জি এম কাদেরের বাড়ির সামনে শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘সন্ধ্যায় কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাপা কার্যালয়ের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।’
‘তবে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং কয়েক রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে’, বলেন তিনি।
শুক্রবার কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, খুলনা ও রাজশাহীতে জাপা অফিসে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও জাপা।