
মো. নুর হোসেন, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পুলিশের কাছ থেকে চলমান অভিযান ডেভিল হান্ট অভিযানে ধৃত আসামিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে কমলনগর থানার এসআই প্রদীপ চন্দ্র শীল বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চরকাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে নাম্বার করে নারীসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাত নামা আরো ১০০/১৫০ আসামি করা হয়েছে। পরে রোববার সকালে যৌথ বাহিনী অভিযান দিয়ে এজাহারভুক্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- চর কাদিরা গ্রামের মো. মিলন, আ. রহিম, মো হেলাল, সনজিত চন্দ্র দাস, ত্রিকুট চন্দ্র দাস, সেমবু চন্দ্র দাস, ইরাবালা দাস, আলম ব্যাপারী ও আব্বাস হোসেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ডেভিল হান্ট অভিযানের চিহ্নিত আসামি কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চরকাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে ওই ইউনিয়নের ৭নাম্বার ওয়ার্ডের ডালিম বাবু বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ওই এলাকার কতিপয় আওয়ামী লীগ পন্থি অনুসারী নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই সময় রাজুকে পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
খবর পেয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম গিয়ে সমঝোতার ভিত্তিতে আসামী আওয়ামী লীগ নেতা রাজুকে ছেড়ে দিয়ে হ্যান্ডকাপ নিয়ে আসেন।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন ভিন্নকথা।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে- আওয়ামী লীগের দুর্ধর্ষ অপরাধী সাবেক চেয়ারম্যান রাজুকে গ্রেপ্তার ‘নাটকে’র খবর রাজু আগ থেকে জানতেন বিধায় তিনি তার কতিপয় অনুসারীকে জড়ো করে রাখেন এবং গ্রেপ্তার পরবর্তী তাকে ছিনিয়ে নেয়ার পরামর্শ অনুযায়ী উদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে পুলিশের যথাযথ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতারা। পুলিশের স্পর্শকাতর অভিযান পরিচালনার পূর্বে আসামি অবগত হওয়া ও অনুসারীদের জড়ো রাখার বিষয়টি চরম রহস্যজনক বলেও মনে করেন বিএনপি নেতারা।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কামরুল ইসলাম বলেন, ডেভিল হান্টের আসামি আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলার এজাহার ভুক্ত ৯ আসামি গ্রেপ্তার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, হ্যান্ডকাপসহ আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে এএসআই প্রদীপকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।