শনিবার (২৬ মার্চ) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়া রাজধানী মালের বিদ্যুৎ বিভাগের অডিটোরিয়ামে সান্ধ্যকালীন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এ সময় পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও হেড অব চাঞ্চেরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মো. সোহেল রানা ও প্রবাসী ডাক্তার মোক্তার আলী লস্কর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময় অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা।
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এক হয়ে কাজ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতারা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়।
যায়যায়কাল/২৭মার্চ২০২২/কেএম