মঙ্গলবার, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজশাহীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ,মীমাংসার জন্য ডেকে যুবতীকে নির্যাতন

পাভেল ইসলাম মিমুল, উওরবঙ্গ:  রাজশাহী মহানগরীতে মীমাংসার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এক যুবতীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মো. ফারুক হোসেন ফরিদ (৩২) এবং মো. আ. রাজ্জাক মাদানী (৪৫) নামে মামা ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত ১১টায় ভুক্তভোগী মোসা. রিনা (৩২) বাদী হয়ে মহানগরীর মতিহার থানায় -এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত দুজনই মতিহার থানার অক্ট্রয় মোড় এলাকার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী রিনা জানান,দেড় বছর আগে ফেসবুকে ফারুক হোসেন ফরিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়,যা পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ফরিদ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে রিনা বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফরিদ অস্বীকৃতি জানায়।
এর আগেই রিনার প্রেমের বিষয়টি তার প্রবাসী স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়,ফলে তার স্বামী তাকে তালাক দেন। ফরিদও তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় রিনা দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রতিকার না পেয়ে তিনি ফরিদ এর বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন,যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
দীর্ঘদিন পর ফরিদের মামা রাজ্জাক মাদানী ফোন করে রিনাকে আলোচনার জন্য তার বাড়িতে ডাকেন। গত বুধবার (২৮ আগস্ট) রিনা অক্ট্রয় মোড়ে রাজ্জাকের বাড়িতে গেলে তাকে দোতলার একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মামা-ভাগ্নে পূর্বের মামলাটি মীমাংসার প্রস্তাব দেন। রিনা বিয়ে ছাড়া কোনো শর্তে আপোষে রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
রিনার অভিযোগ,মামা-ভাগ্নে দুজনে মিলে তাকে মাথা, চোখসহ সারা শরীরে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। সে মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে রাজ্জাক মাদানী তার বুকের ওপর বসে গলা চেপে ধরেন এবং স্পর্শকাতর স্থানে কিলঘুষি মারেন। রিনা চিৎকার করলে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
রিনা অক্ট্রয় মোড় রেন্ট-এ-কার ও মাইক্রোস্ট্যান্ড অফিসে গিয়ে লোকজনকে ঘটনাটি বলতে থাকলে প্রেমিক ফরিদ সেখানে পুনরায় উপস্থিত হন এবং ইট দিয়ে রিনার মাথায় আঘাত করেন। এতে রিনা ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পাশের চায়ের দোকানের লোকজন এগিয়ে এলে মামা-ভাগ্নে দ্রুত পালিয়ে যান। উপস্থিত লোকজন রিনার মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করে একটি অটোরিকশায় তুলে দিলে তিনি নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আ. রাজ্জাক মাদানী মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং সাক্ষাতে বিস্তারিত বলার কথা জানান। তবে তার ভাগ্নে প্রেমিক ফরিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মালেক বলেন, নির্যাতনের বিষয়ে ভুক্তভোগী রিনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ