
নুরুল ইসলাম, গাইবান্ধা: রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গত ১১ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালবাগের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মডার্ন মোড়ে যান। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে মডার্ন মোড়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার রংপুর বিভাগের সঙ্গে বৈষম্য করছে। সরকারে উপদেষ্টাদের ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের হলেও উত্তরাঞ্চল থেকে কাউকে নেওয়া হয়নি। এভাবে চললে আঞ্চলিক বৈষম্য আরও বাড়বে।
এ সময় সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, আশফাক আহমেদ, নাহিদ হাসান খন্দকার, ইমতিয়াজ আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।
ইমরান আহমেদ বলেন, রংপুর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূতিকাগার। আবু সাঈদের রক্তের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শুরু হয়েছিল। ১০ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, রংপুর হবে দেশের এক নম্বর জেলা। কিন্তু রংপুর অঞ্চলের জনগণের হয়ে কথা বলার মতো সরকারে একজন উপদেষ্টাও নেই। আবু সাঈদের জন্মভূমি রংপুরকে চরম অবহেলা করা হচ্ছে। সরকারে উত্তরাঞ্চলের যোগ্য একাধিক ব্যক্তিকে উপদেষ্টা করার দাবি জানান তিনি।দাবি মানা না হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ রংপুর বিভাগ অচল করার মতো কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়ে আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণে উত্তরবঙ্গের ছাত্র-জনতার পক্ষে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো- সুষম উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের দুই বিভাগ থেকে কমপক্ষে দু’জন করে চারজন উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমলা ও কর্মকর্তা নিয়োগে আঞ্চলিক বৈষম্য করা যাবে না; সেই সঙ্গে প্রত্যেক উপদেষ্টাকে কার্যক্রমের অগ্রগতি সাপ্তাহিকভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং বিতর্কিত ও জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করেন না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারে রাখা যাবে না; নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের পরামর্শ নিতে হবে।ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের পীরগন্জ উপজেলার আবু সাঈদের বড় বোনের পুত্র প্রফেসর লিটন মিয়া,যিনি চট্টগ্রাম বায়েজিদ মডেল স্কুল, হলি চাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ,ঢাকাতে শিক্ষকতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাকে উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগের জন্য, জাতীয় সাপ্তাহিক জয়ভিশন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এ.জি.এম মাসুদ সরকার মজনু ও গাইবান্ধা জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।