
কসবা প্রতিনিধি: কসবা উপজেলায় গোপীনাথপুর ইউনিয়ন বিয়ের ২৩ বৎসর পর রাজিয়া বেগম (৩৫) নামে এক ‘গৃহবধূ’কে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের বোন আছনা বেগম বাদী হয়ে কসবা থানায় গোপীনাথপুর ইউপি মেম্বার জামাই মোস্তাক আহমেদ সহ ছেলে আকরামীন নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গত বুধবার ৫( অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। তবে পুলিশ আসামি ছেলে আকরামীন কে গ্রেফতার করে জেল হাজত প্রেরণ করেন । বুধবার বিকালে কসবা উপজেলা গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডে পশ্চিম পাড়া এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।‘গৃহবধূ’ রাজিয়া বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার গোপীনাথপুর ইউপি বাড়াই মৃত আবু তাহেরের মেয়ে।
নিহত বোন আছনা বেগমের দায়ের করা মামলা সূত্র জানা যায়, গত ২৩ বৎসর পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কসবা উপজেলা গোপীনাথপুর ইউপি ২নং ওয়ার্ডে বর্তমান মেম্বার মোস্তাক আহমেদ সাথে রাজিয়া বেগম এর বিবাহ হয়। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। রাজিয়া স্বামী ও ছোট ছেলে আকরামিন পূর্ব হইতে তার উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাইয়া আসিত। ঘটনার তারিখ ও সময়ে পরস্পর যোগসাজোসে আমার বোনকে অত্যাচার নির্যাতন করে। আমার বোনের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে এবং আমার বোনকে মৃত্যু ঘটানোর উদ্দেশ্যে গলায় উড়না পেচাইয়া শ্বাসরোদ্ধ করিয়া আমার বোনকে হত্যা করে।
এঘটনার একপর্যায়ে স্বামী মোস্তাক ও তার ছেলে পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশি এবং আমাদের কাছে তার স্ত্রী নাকি ষ্টোক করিয়া মৃত্যু বরন করেছে বলে প্রচারণা চালায়। ঘটনার পর থেকে স্বামী সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে।
ওসি মহিউদ্দিন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে,নিহতের বোন বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছে, আমরা তার ছোট ছেলে আকরামিন কে গ্রেফতার করেছি। স্বামী মোস্তককে গ্রেফতার করতে চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে লাশের ময়না তদন্ত রিপোট আসলে সঠিক রহস্য জানা যাবে।