
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকশা গ্রামে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ৮ লক্ষাধিক টাকার চুরির অভিযোগ উঠেছে এক সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বরসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মমতা বেগম।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে মমতা বেগমের বাড়িতে ঘটে এই চুরির ঘটনা। মমতা বেগমের স্বামী বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী পরিচয়ে মোকাদ্দেস আলী (৫৫) ও তার ছেলে ইয়াকুব (২৪) রাতযাপনের জন্য তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন— আলহাজ (২৭), আল-আমিন (২৮) এবং হেলাল (২০)।
মমতা বেগমের অভিযোগ, মোকাদ্দেস আলী রাতে তাদের সেভেন আপের বোতলের পানীয় খেতে দেন। সরল বিশ্বাসে তা পান করার পরপরই মমতা এবং তার দুই নাবালিকা আত্মীয় গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়েন।
অচেতন অবস্থায় আসামিরা স্টিলের ট্রাংকের তালা ভেঙে ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা নগদ, আড়াই ভরি স্বর্ণের চেইন এবং দেড় ভরি কানের দুলসহ আনুমানিক ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪০০ টাকার মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে মমতার ছেলে বাড়ি ফিরে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের সহায়তায় তারা সুস্থ হলে চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়।এই চুরির বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের মাধ্যমে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসার প্রতিশ্রুতি দেন গ্রামবাসী। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তারা উল্টো মমতা বেগমকে হুমকি দিতে শুরু করেন। বিষয়টি জানিয়ে তিনি সিরাজগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগপত্রে মমতা বেগম উল্লেখ করেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ, প্রভাবশালী এবং প্রতারক শ্রেণির লোক। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চুরি, প্রতারণা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের সঙ্গে জড়িত।
মামলার বাদী মমতা বেগম প্রশাসনের কাছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন