
নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্রাহক সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোববার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকে যোগ দিলেন তিন নতুন এমডি।
সোনালী ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন আফজাল করিম, যিনি এতোদিন হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের এমডির দায়িত্ব সামলিয়ে আসছিলেন। তিনি আতাউর রহমান প্রধানের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আফজাল করিম বলেন, “গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি ও সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি প্রতিবছর করা হয় তা পূরণই অগ্রাধিকার হবে।
“ব্যাংকের কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠক করব, দেখব কোথায় বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। চেষ্টা করব আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে।”
রূপালী ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগ দিয়েছেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন পূর্বসূরি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের কাছ থেকে।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, “খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনাই অন্যতম অগ্রাধিকার হবে। আমার উপর যে আস্থা রাখা হয়েছে, তা পূরণের চেষ্টা করব।”
আর অগ্রণী ব্যাংকের এমডি পদে মোহাম্মদ শামস-উল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সোনালী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুরশেদুল কবীর।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেছেন, “গ্রাহক সেবার মান বাড়িয়ে এসএমই ঋণ যাতে বৃদ্ধি পায়, সেদিকে বেশি গুরুত্ব দিব। কৃষি ঋণ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে, আর খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করা হবে।”
এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই তিন ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠায়।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নাম ঠিক করে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়। ব্যাংক তখন পর্ষদে তুলে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র ঠিক করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় অনুমোদনের জন্য।
যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ার কাজটি করে থাকে।
তিন বছরের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচলকের দায়িত্বের পাশাপাশি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবেও তারা দায়িত্ব পালন করবেন।