শনিবার, ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাঁদাবাজি ও মব তৈরির চেষ্টার সময় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পিটিয়ে জখম

রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারে গিয়ে চাঁদাবাজি ও মব তৈরির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাদের পিটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিদায় করে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোববার (২৫ মে) বেদম মার খাওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘মোকসেদ আলম ফিজিক্স কোচিং সেন্টারে’ নামে এক কোচিংয়ে মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি কাজ করতেন। তিনি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার পরানপুর এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। মাসুদ রানা সেখানে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন এবং কমিটিতেও ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরীর কাদিরগঞ্জে কোচিং সেন্টারে তার সন্ধান পেয়ে দড়িখরবোনা এলাকার একদল যুবক ওই কোচিংয়ে যায়।

কোচিং সেন্টারের স্টাফরা জানান, ‘মাইনুল ও সাজেদুর নামে স্থানীয় ছাত্রদলের দুই নেতা কোচিং সেন্টারে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় মাসুদকে তারা বের করার চেষ্টা করে। তবে বাধার মুখে তারা আরও নেতাকর্মী ডাকেন। আরও ২০-২৫ জন নেতাকর্মী এসে মব তৈরির চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।’

কোচিং সেন্টারটির পরিচালক মোকসেদ আলম বলেন, ‘স্থানীয় কিছু যুবক চাঁদা দাবি করে আসছিল। সেটি দিতে রাজি না হওয়ায় তারা মাসুদ রানাকে ছাত্রলীগ নেতা বলে আখ্যা দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমরা পুলিশকে জানাই। দ্রুত পুলিশ ও সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।’

রোববার (২৫ মে) দুপুর থেকে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে একজনকে টাইলসের ওপর উপুড় হয়ে শায়িত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তার শরীরের পেছনের অংশে ও দুই পায়ে প্রচণ্ড পেটানো হয়েছে এবং কালশিটে দাগ পড়ে গেছে। ফেসুবক স্ট্যাটাসে দাবি করা হচ্ছে, কাদিরগঞ্জ এলাকায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি ও মব সৃষ্টি করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে পিটুনি খেয়েছেন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি বলেন, ‘আমরা সমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমি রাজশাহীর বাইরে আছি, এরকম কিছু জানিনা।’

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *