বুধবার, ১১ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৫শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জয়পুরহাটে অবৈধ ঝুকিপূর্ন ভুটভুটির যানজটে অতিষ্ঠ, চলছে চাদাঁবাজি

নিরেন দাস, জয়পুরহাট প্রতিনিধি: সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জয়পুরহাটে শ্যালো মেশিন চালিত অবৈধ লক্কর-ঝক্কর ঝুকিপূর্ন ভুটভুটি দিনদিন বেড়েই চলেছে। অদক্ষ্য চালকের কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ঘটছে বিঘ্ন । চাঁদা তোলার নিয়ম না থাকলেও তোলা হচ্ছে চাঁদা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈধ যানবাহনের মালিক ও শ্রমিকরা। এসব অবৈধ ভুটভুটি বন্ধের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় পরিবহণ মালিক সংশ্লিষ্টরা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন জেলার পুলিশ সুপার।

সাধারন মানুষের মালামাল সরবরাহের সুবিধা ও কম খরচে পরিবহন হিসেবে ঝুকি নিয়ে চালানো হচ্ছে শ্যালো মেশিন চালিত নছিমন- করিমন- ভুটভুটি। এতে সড়কে প্রায় ঘটছে মর্মান্তিক দূর্ঘটনা । এসব ভুটভুটি জেলা শহরের প্রধান সড়ক গুলোতে চলাচলে নিষেধ থাকলেও কিছুতেই মানছেন না ভুটভুটি চালকরা। জয়পুরহাট শহরে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা ঐতিহ্যবাহী নতুনহাটের গরু কেনাবেচায় হাটের আশে-পাশে পাড়া মহল্লায় যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন রাস্তার উপরে যানজট সৃষ্টি করে রাখা হয় এসব অবৈধ ভুটভুটি। স্থানীয়রা চলাচলে পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। এমনকি অবৈধ এ যানবাহনে নিয়মিত প্রভাবশালীরা তুলছেন চাঁদা। দ্রত এসব অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবি জানান স্থানীয়রা। এ জেলায় ভুটভুটির সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও স্থানীয় ভুটভুটি মালিক শ্রমিক সূত্রে জানা যায় ৬ থেকে ৭ হাজার। অবৈধ এ যানবাহন থেকে গাড়ি প্রতি ২০ – ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছেন প্রভাবশালীরা। এ চঁাদা অর্ধেক যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের পকেটে, প্রভাবশালেিদের কাছে থেকে চাদার রশিদ বই কিনে নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে যারা চঁাদা তুলছেন অর্ধেক যাচ্ছে তাদের পকেটে।

প্রফেসরপাড়া, নতুনহাট, দেওয়ানপাড়া,চিত্রাপাড়া, মুজিবনগর, সরদারপাড়া, জামালগঞ্জ রোড়, সরকারী কলেজ এলাকা ও শেখপাড়া সহ হাটের আশপাশের অনেক বাসিন্দা বলেন, আবাসিক এলাকায় এই হাট গড়ে উঠেছে। হাটে আসা লক্কর-ঝক্কর অবৈধ ঝুকিপূন নছিমন- করিমন- ভুটভুটি এসে পাড়ার অলিগলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে যানজট সৃষ্টি করে। হাটের দিন গুলোতে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনা। বাচ্চারা স্কুল কলেজে যেতে পারেনা। হাটের আশপাশে প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে এসব অবৈধ যানবাহন গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।

জয়পুরহাট জেলা পিকআপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সুমন কুমার সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন,অবৈধ যানবাহন এই ভুটভুটিগুলো এগুলো যারা চালায় তাদের প্রশিক্ষন নাই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই কিছুই নাই। যারা সরকারকে কোনো রকম ভাবে অর্থ দেয়না । আমরা রোড পারমিট,লাইসেন্স রিনু, ভ্যাট ট্যাক্স সরকারকে দিয়ে পিকাআপ চালাই । এই ভুটভুটির কারণে পিকাআপ মালিকগুলোর ব্যাবসা একেবারে রাস্তায় পড়ে গেছে। পিকাআপ শিল্পকে বাচাতে হলে এ অবৈধ ভুটভুটি অপসারন দরকার। না হলে আমরা পথে বসে যাবো।

একই রকম কথা জানিয়ে জয়পুরহাট জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেদারুল ইসলাম বেদীন বলেন, জয়পুরহাট শহরে যানজট একটি মারাত্মক সমস্যা এর মধ্যে এসব অবৈধ নছিমন-করিমন- ভুটভুটি পাড়া মহল্লায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি করছে। হাটের দিন করে আমরা বাড়ি থেকে বেড় হতে পারিনা। এসব অবৈধ যানবাহনের বিরূদ্ধে ইতি পূর্বে বহুবার ব্যাবস্থ্যা গ্রহণের জন্য সিধান্ত নেয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। প্রশাসনের এখনি ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার ।

এ ব্যাপরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। হাটের দিন গুলোতে গরু নিয়ে জেলা শহরে ৪টি রাস্তা দিয়ে ঢোকার কারণে যানজট তিব্রোতর করে তোলে। সেই ৪ টি পয়েন্টে এসব গাড়িগুলো আটক করে ফেলবো এবং গরুগুলোকে হেটে নিয়ে হাটে ঢুকবে। আশা করছি এ শহরের সন্মানিত নাগরিকরা যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *