
মো. নাজমুল ইসলাম, নেত্রকোনা: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা ফেস্টুন ও পোস্টার টানানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম সফু (৪০) নামের এক করাতকল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছয়জন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের পূর্ব বাকলজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল ইসলাম সফু ওই গ্রামের মৃত তারাব উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান রাশেদ ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফেস্টুন ও পোস্টার লাগানোর উদ্যোগ নেন। এসব ফেস্টুন লাগাতে গেলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার বাধা দেন।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে জামাল উদ্দিন মাস্টারের নেতৃত্বে প্রায় ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলে করে একদল লোক পূর্ব বাকলজোড়া গ্রামে হামিদুর রহমান রাশেদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
হামলার সময় গুলিতে শফিকুল ইসলাম সফু গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আলমগীর হোসেন (৩০), সৌরভ (২৪), শাকিল (৩২), লালচান মিয়া (৪৯), বাবুল মিয়া (৪২), মানিক মিয়া (৩০) প্রমুখ।
আহতদের একজন লালচান মিয়া বলেন, “হামলার সময় জামাল উদ্দিন মাস্টার নিজেই কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে শফিকুল গুলিবিদ্ধ হন।”
এ বিষয়ে নিহতের চাচা অ্যাডভোকেট হামিদুর রহমান রাশেদ বলেন, “আমি খুবই মর্মাহত। জানাজার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলব।”
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”