
মো.শফিকুল ইসলাম,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী এলাকা হতে কুখ্যাত ও দুর্ধর্ষ জলদস্যূ জসিম বাহিনীর প্রধান জসিম ডাকাত এবং ট্রিপল মার্ডারার বুতা ডাকাতসহ ০৩ জন জলদস্যূ বিপুল পরিমান আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ র্যাবের হাতে আটক।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্রের কতিপয় দুস্কৃতিকারী ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানাধীন নাপুরা এলাকার বাঁশখালী-পেকুয়া রোডস্থ একটি কলেজের পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর একত্রিত হয়েছে সলাপরামর্শ করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ০১১৫ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মো. জসিম (৩৫), পিতাঃ মৃত দানু মিয়া, সাং-সরল, থানাঃ বাশখালী, জেলাঃ চট্টগ্রাম, ২। আব্দুল মাবুদ (৫২), পিতা-মৃত আমির হোসেন, থানা-বাশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৩। মো. ওসমান গনি (২৫), পিতা-মৃত দানু মিয়া, থানা-বাশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের দেহ তল্লাশী, নিজ মূখে স্বীকারুক্তি এবং নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে তাদের হেফাজতে থাকা সর্বমোট ০৫টি ওয়ানশুটার গান এবং ০৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা পরস্পর যোগসাজসে জব্দকৃত অস্ত্র¿-গুলি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে ব্যবহার করত মর্মে জানায়। বর্ণিত ঘটনাস্থলে গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিল বলে তারা অকপটে স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামী প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধেই চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণকারী সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
যায়যায়কাল/০৯সেপ্টেম্বর২০২২/কেএম