
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: উত্তাপেই শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ভোটের লড়াই। গতকাল মনোনয়ন বাছাইয়ের দিনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক শফিকুল আলম এমএসসি’র গ্রেপ্তার চেয়ে মানববন্ধন করেছে একটি পক্ষ। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে শফিকুল আলম বিদ্যালয়ের মার্কেট ভাড়া ও তহবিলের প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। ২০১৬ সালের ওই ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়। তবে শফিকুল আলম বলেন, এ অভিযোগ ২০১৬ সালেই মিটে গেছে। এ বিষয়ে দুদকের দেয়া একটি চিঠিও পাঠান তিনি। শফিকুল বলেন, নির্বাচনে তাকে মোকাবিলা করার সাহস নেই বলেই এসব করা হচ্ছে। নানাভাবে তাকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর বিচার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ করবে। এদিকে বাছাইয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নই বৈধ হয়েছে।
তারা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী আল মামুন সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল আলম ও আবু কালাম আজাদ।
তবে সাধারণ সদস্য পদে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান জানান, ঋণখেলাপি হওয়ায়, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি না থাকা এবং হলফনামা না দেয়ার কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তারা হলেন- ৩নং ওয়ার্ডের মো. কাউছার আলম, ৪নং ওয়ার্ডের মাসুদুর রহমান এবং এ এম আকছির খান, ৫নং ওয়ার্ডের মৃনাল কান্তি চৌধুরী। নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্যে মোট ৬৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ছাড়াও ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৫২ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় সদস্য প্রার্থী সংখ্যা ৬২ হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডের (নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা) আনারকলি, বিউটি কানিজ, স্বপ্না বেগম, মাহমুদা পারভীন ও হোসনা আক্তার নিপা, ২নং ওয়ার্ডের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও কসবা উপজেলা) রোমানা আক্তার, রুমানুল ফেরদৌসি, ফেরদৌস আক্তার, মারহুমা বেগম, সৈয়দা নাখলু আক্তার, ৩নং ওয়ার্ডের (আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা) নূরুন্নাহার বেগম, সনি আক্তার সূচি, মাহমুদা আক্তার, মোছেনা বেগম। ১নং সাধারণ ওয়ার্ডের (নাসিরনগর উপজেলা) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সামছুল কিবরিয়া রাজা, গোলাম ছামদানী, হুমায়ুন কবির, আসাদুজ্জামান চৌধুরী, ফারুক মিয়া, মো. সাদেকুর রহমান, মহিদুজ্জামান। ২নং ওয়ার্ডের (সরাইল উপজেলা) পায়েল হোসেন মৃধা, আবদুল মালেক, মো. জাকির হোসেন, উত্তম কর্মকার, মো. শাহেদ মিয়া. মো. ইমরান হোসেন। ৩নং ওয়ার্ডের (আশুগঞ্জ উপজেলা) মো. মনিরুজ্জামান খান, মো. জাহাঙ্গীর মুন্সি, আলমগীর হোসেন ফরহাদ, মো. বিল্লাল মিয়া, জিল্লুর রহমান। ৪নং ওয়ার্ডের (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা) সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মো. বাবুল মিয়া, আমিনুল ইসলাম, মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, ছাদেকুর রহমান শরীফ, কে এম সুজন, মো. কাউছার মিয়া, মো. আজহারুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, মিনহাজ নবী খান, সুধীর চন্দ্র ঘোষ, মো. জিয়া কারদার, ৫নং ওয়ার্ডের (বিজয়নগর উপজেলা) বাবুল আক্তার, মো. তফসিরুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান রানা, কাজী আশিকুর রহমান। ৬নং ওয়ার্ডের (আখাউড়া) মো. সাইফুল ইসলাম, খন্দকার মোস্তাক আহমেদ, এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম, মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া, মো. ইয়াছিন মিয়া। ৭নং ওয়ার্ডের (কসবা উপজেলা) মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, এম মারুফ হাসান, মো. জহিরুল হক খান, আইয়ুব আলী ভূঁইয়া। ৮নং ওয়ার্ডের (নবীনগর উপজেলা) সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আজাদ, বোরহান উদ্দিন আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, কবির হোসেন, মো. নাছির উদ্দিন এবং ৯নং ওয়ার্ডের (বাঞ্ছারামপুর উপজেলা) মনোনয়ন নিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ, নূর মোহাম্মদ মোল্লা, মিন্টু রঞ্জন সাহা ও মনিরুজ্জামান।