
রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রাথমিকের দুই শিশু শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উভয়ের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
মারধরের শিকার ইসরাফিল সামি ও রাব্বি উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
রোববার বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে দ্বিতীয় শিফটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরের বিরতির পর তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন একই শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাফিল। পরে বিষয়টি নিয়ে রাব্বি ও ইসরাফিলকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ডেকে বেত দিয়ে মারধর করেন সহকারী শিক্ষিকা রাফিয়া আকতার।
মারধরের শিকার ইসরাফিলের অভিভাবক ফুরিজান বেগম অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেছেন রাফিয়া আকতার। এবার আমার ছোট নাতিকে মারধর করলো। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার চাইবেন বলে তিনি জানান।
শ্যামপুর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রিতা খানম জানান, আমার ভাগিনাকে শিক্ষকের নির্দেশ শুনতে না পাওয়ায় এভাবে মারধর করেছে। এটা অমানবিক। শিশুরা ভুল করলে তারা শিখাবে। শুধু আমার ভাগ্নেকেই না, ওই শিক্ষিকা অন্যান্য শিক্ষার্থীকেও ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জানতে চাইলে শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মুশফিকা পারভীন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বাচ্চারা খুব দুষ্টামি করছিল। তাদের ভয়ভীতি দেখাতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে লেগে গেছে। এসময় তার কাছে সহকারী শিক্ষিকা রাফিয়া আকতারের মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। উল্টো প্রতিবেদককে রিপোর্ট না করার জন্য বলেন।
এদিকে সহকারী শিক্ষিকা রাফিয়া আকতারের সঙ্গে বিকল্প মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এর মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।