
ফরিদপুর প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে আক্রমণাত্মক পোস্ট দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সাজ্জাদ মিয়া (৪১) নামের এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে জিল্লুর রহমান রাসেল নামে ফরিদপুরের এক কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
ফরিদপুরের ঝিলটুলী মহল্লা এলাকার হিতৈষী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাজ্জাদকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আল বারাকা ফার্মেসি নামে একটি ওষুধের দোকানের মালিক।
জানা যায়, গত সোমবার ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে যোগ দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা। ওইদিন রাতে কৃষকলীগ নেতা জিল্লুর রহমান রাসেল তার নিজ ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘উফ! আফসোস! হাতের কাছে পেয়েও থাপড়াইতে পারলাম না।’ এই পোস্ট দেখে সাজ্জাদ মিয়া জিল্লুরের পোস্টটির স্ক্রিনশর্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীদের মানববন্ধনসহ সব কর্মসূচি নেওয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

সাজ্জাদ মিয়া বলেন, ‘জিল্লুর ভাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথা বলার কথা বলে ডেকে আমাকে নিয়ে তিনিসহ পাঁচজন মিলে লাঠিপেটা করে। পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে সাজ্জাদ মিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। হাত দিয়ে ঠেকাতে গিয়ে বাম হাতে ব্যথা পেয়েছেন। তবে আঘাত গুরুতর নয়।’
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা বলেন, ‘ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে।’