সুদীপ দেবনাথ (রিমন সূর্য)
শনিবার (৪ মার্চ) রাজধানী মগবাজারের একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দেন।এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস,
সিনিয়র সহ-সভাপতি নিয়ে আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদ শরফুদ্দিন এলাহী সম্রাট,সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ খুরশিদ আলম, সাংস্কৃতিক,সমাজ কল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক, আর, এম ইউনুস রুবেল,সহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারে কাছে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমা আমদানি বিষয়ে যে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে তার নিরসনে সমিতির পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী বরাবরে একটি আবেদন পেশ করা হয় কিন্তু পাঠান ছবি আমদানির অনুমতি দানের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নেতিবাচক চিঠির কোন ব্যাখ্যা ও দেওয়া হচ্ছে না।সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেয়ায় শ্রেয় বলে মনে করি। সিনেমা হল মালিকগণ এই হতাশাজনক পরিস্থিতিতে যেকোনো দিন সিনেমা হল বন্ধ করে দিতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে সিনেমা ভালো যাচ্ছে আমরা সেই সিনেমাই আমদানির পক্ষে, সেটা যেকোনো ভাষার হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে প্রদর্শক সমিতির নেতারা প্রশ্ন করেন হল যদি না চলে, হল যদি বন্ধ হয়ে যাবে দেশের সিনেমা চালাবে কোথায়? পাশাপাশি তারা হিন্দি ছবি আমদানি কর না চালাতে দিলে হল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ব্যাপারে তারা দ্রুত সরকারের যথাযথ সিদ্ধান্তও চান। সাংবাদিকদের বলেন প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, “ হিন্দি ছবি না চালাতে দিলে এখন আর হল চালু রাখার উপায় দেখছি না। সিনেমা হল চালু রাখার আর কোনো বাস্তব যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না বিধায় বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয় বলে মনে করি। এক প্রশ্নের জবাবে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন “চার বছর আগেও সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ২৪০। এখন নিয়মিত চালু হলের সংখ্যা মাত্র ৪০। দেশের সিনমা হল সব গোডাউন হয়ে যাচ্ছে।’ ভালা সিনেমা নির্মিত হচ্ছেনা বলেই এসব হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দাবি করে দেশের বর্তমান হলের সংখ্যার কথা জানালন হল মালিক চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, লায়নস প্রেক্ষাগৃহের মালিক মির্জা আব্দুল খালেক দাবি করেন, ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমা টিকিয়ে রাখতে বর্তমানে সিনেমা আমদানির বিকল্প নেই। তিনি বলেন,“ঈদে বিগ বাজেট সিনেমা আসছে কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, একটা সিনেমা পুঁজি তুলে আনতে পারবে না। কারণ, পুঁজি তুলে আনার মতো জায়গা নাই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, ২০ লাখ টাকা দিয়ে সিনেমা বানালেও সেই টাকা তুলে আনার মতো জায়গা নাই। সরকার দাবি মেনে না নিলে কবে নাগাদ হল বন্ধ করা হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নর উত্তরে নেতারা আগামী ঈদের আগেই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।
সরকার এর কাছে হিন্দি সিনেমা পাঠান আমদানি অনুমতির দাবিও করেন তারা।
সুদীপ /রিমন