
বিক্রয়নিষিদ্ধ এসব পণ্য বাজারজাত করার দায়ে পণ্যের মালিক মো. আক্তারুজ্জামানকে (৩২) এক মাসের কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ‘এ জে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেড’ নামের ওই কুরিয়ারের কার্যালয় সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিরামপুর পৌর শহরের পল্লবী সড়কের রোডে ওই কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিয়া নওরীন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ড দেন। কারাদণ্ড পাওয়া আক্তারুজ্জামান জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর ভাদুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ‘পাবনা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’ নামে একটি কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাবনা শহর থেকে এ জে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিক্রয়নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও বড়ির একটি চালান বিরামপুরে আসছে—এমন সংবাদ পায় বিরামপুর বিজিবির বিশেষ ক্যাম্প। আজ দুপুরে ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মর্তুজা শাহিনের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল পৌর শহরের পল্লবী রোডে ওই কুরিয়ার সার্ভিসের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির সদস্যরা কার্যালয় থেকে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন ১০৮ কার্টন যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ১০ কার্টন বড়ি উদ্ধার করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে বেলা সাড়ে তিনটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিয়া নওরীন ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় ঘটনার সত্যতা মিললে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯–এর ৫২ ধারায় পণ্যের মালিক মো. আক্তারুজ্জামানকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া অবৈধ পণ্য পরিবহন ও রাখার অভিযোগে এ জে আর পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের ওই কার্যালয় সিলগালা করা হয়।