
যায়যায় কাল প্রতিবেদক : ময়মনসিংহে সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার খণ্ডিত দেহটি ঢাকার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ছাত্র ওমর ফারুক সৌরভের (২২)। তিনি জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে। সৌরভ প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র ছাত্র ছিলেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন।
রোববার সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোববার সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রিজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণের চার খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সুতিয়া নদী থেকে কালো রঙের একটি ট্রলি লাগেজ থেকে মরদেহের তিন খণ্ড এবং পাশেই একটি বাজারের ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বোরহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় থেকে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ পড়তেন বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকেন না। সৌরভের বাবা ঢাকা এবং ইলিয়াস নামের এক চাচা ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন।
পুলিশের ধারণা, পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৌরভকে খুন করে মরদেহ চার খণ্ড করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এরইমধ্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশসহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানান পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।