বৃহস্পতিবার, ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সিংড়ায় সেতুর অভাবে পাঠদান বন্ধ

কাবিল উদ্দিন কাফি , সিংড়া (নাটোর) : নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা ও উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জলারবাতা-বড়িয়া খাল পারাপারে সেতু নেই।

জলারবাতা থেকে পমবড়িয়া ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা থাকলেও খালে সেতু না থাকায় প্রতি বর্ষায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক, শির্ক্ষাথী ও অভিভাবকরা। এছাড়া পমবড়িয়ার রাস্তা পাকা না হওয়ায় বিলের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলতে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় কৃষকদের। রাস্তা পাকাসহ বসেতু নিমার্ণের দাবি ভুক্তভোগীদের।

জলারবাতা খালের পাশেই ২০১৯ সালে স্থাপিত হয় কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদ্রাসা । সম্প্রতি অত্র এলাকায় দ্বীনি শিক্ষার একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক শির্ক্ষাথী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছেন। শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, সেতু না থাকায় বর্ষার ৩ থেকে ৪ মাস খাল পারাপারে চরম বিপাকে পড়েন শির্ক্ষাথীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি মাত্র পুরাতন ডিঙি নৌকায় পারাপার হচ্ছেন তারা। প্রবল বাতাসে নৌকাও ঠিক ঠাক মত চালাতে পারছেন না শির্ক্ষাথীরা। এ অবস্থায় নুরানী ক্লাসের শির্ক্ষাথীরা মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে নুরানী পাঠদান বন্ধ আছে দুই সপ্তাহ ধরে।

ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি আবু বকর ইবনে সানা, মুফতি জাকারিয়া মাসউদ ও মুফতি আবু সাঈদ জানান, বানের পানি বাড়ার সাথে সাথেই নুরারী ক্লাসের ছোট শিশুরা মাদ্রাসায় আসে না। এভাবে প্রতিবছরই বর্ষার কয়েক মাস এই ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। সেতু নির্মাণের দাবি করেন শিক্ষকরা।

জলারবাতা এলাকার শাহাদত হোসেন ও খোরশেদা বেগম নামের দুই অভিভাবক জানান, ভয়ে ছেলে মেয়েরা কেউ মাদ্রাসায় যায় না। আমরাও শংকায় থাকি, তাই কয়েক মাস মাদ্রাসায় পাঠাই না।

স্থানীয় কৃষক ফরিদ, আমদ আলী ও আবুল কালাম জানান, পমবড়িয়া সহ ৭ বড়িয়ার প্রায় ৫ হাজার মানুষের উপজেলা সদরে অল্প সময়ে যাওয়া আসার সহজ পথ হলো এই রাস্তা। এছাড়া বিলের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলার জন্য রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেশি। রাস্তা পাকাসহ খালের উপর সেতু নির্মাণের দাবি করেন তারা।

চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা জানান, পমবড়িয়া থেকে জলারবাতা র্দীঘ দিনের কাঁচা রাস্তাটি পাকা এবং সেতু নির্মাণ করা হলে কৃষকের পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উপকার হবে। জনগুরুত্বর্পুণ রাস্তা পাকা ও সেতু নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক বলেন, রাস্তাসহ জলারবাতা খালে সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির নির্দেশনা রয়েছে। চলনবিল প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির জন্য তালিকা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলনবিল প্রকল্পে সেতুসহ রাস্তার তালিকা অর্ন্তভুক্ত করবো।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ