
রহিদুর রহমান মিলন, সারিয়াকান্দি (বগুড়া): বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৬৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার মুক্তিযেদ্ধা মোড়ের পশ্চিম এবং এক্সিম ব্যাংক বাজার শাখার পূর্ব পার্ম্বে মো: দুলাল মিয়া গোস্ত ঘর।
গরিব অসহায়দের জন্য সন্ধ্যা থেকে ৫০০/৫৫০ টাকা কেজি দরে ২৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে জন প্রতি সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত মাংস বিক্রয় করেন। দোকানটিতে সকাল থেকে ব্যাগ হাতে ভিড় করেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। সারিবদ্ধভাবে কেউ এক কেজি, কেউ দুই কেজি কিংবা তার বেশি মাংস কেনেন। প্রতি দিনই দেশি ও সংকর জাতের গরু কেটে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
বাজারের লোকজন জানান, সারিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজারে যেখানে গরুর মাংস ৭০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা ভেবে কম দামে মাংস বিক্রির এমন উদ্যোগ নেওয়ায় প্রশংসিত হচ্ছেন মো. দুলাল মিয়া।
মাংস কিনতে আসা পৌর এলাকার খোকন মিয়া, দেবডাঙ্গা গ্রয়েন বাঁধ এলাকার রফিক মিয়া বলেন, আমরা ৬৫০ টাকা কেজি দরে মাংস নিয়েছি । অথচ সারিয়াকান্দির বিভিন্ন বাজার থেকে মাংস নিলে ৭০০ টাকা করে নিত। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের উপকারই হলো।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, সারিয়াকান্দি পৌর সভার নির্দিষ্ট জায়গায় ভোর ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ৬টার মধ্যে লোকজনের সামনেই গরু জবাই হচ্ছে। সেখানে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোকানে মাংস তোলা হচ্ছে। মানুষজন এসে সাধ্যমতো মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাংস বিক্রেতা দুলাল মিয়া বলেন, আমার বাবা প্রায় ৩৬ বছর ধরে মাংস বিক্রি করে আসছেন। আমি আলাদাভাবে আরেকটি দোকান দিয়েছি শুধু নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে কম দামে মাংস বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিনই এই দামেই বিক্রি চলবে।
তিনি জানান, প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ মণ ওজনের গরু জবাই করে বিক্রি করেছেন।
তিনি বলেন, প্রতি কেজিতে আমার ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হয়। এতেই আমি খুশি। বরং বিক্রি বাড়লে দাম আরও কমিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য মাংসের অর্ডার বেশি হলে দিনে ৫/৭টা করে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়।
এ ব্যাপারে পৌর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআই টেক মো. খোরশেদ আলম বলেন, বাঙালি ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে পৌরসভার নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিদিন পরীক্ষার পর সুস্থ গরু জবাই করার অনুমতি প্রদান করা হয়ে থাকে।