বৃহস্পতিবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

তিন শিশুকে নিয়ে স্ত্রীর বিচার দাবি করলেন স্বামী

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে নাবালিকা তিন কন্যা সন্তানকে নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে স্ত্রী আশা আক্তার (২৬) বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বামী খান মোঃ আব্দুল মজিদ।

রবিবার সকাল ১১ টার দিকে দিনাজপুর প্রেসক্লাব নিমতলায় এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

খান মোঃ আব্দুল মজিদ বোচাগঞ্জের সেতাবগঞ্জ পৌর এলাকার মাস্টারপাড়ায় মৃত মহির উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি দৈনিক যায়যায়কালের দিনাজপুর জেলা সংবাদদাতা।

খান আব্দুল মজিদ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, নাবালিকা তিন কন্যাকে সাথে নিয়ে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছি। ফুটফুটে কন্যা সন্তান দুটি জমজ জান্নাতি আক্তার (৪) পুলসেরাতি আক্তার (৪) অপরজন মিম আক্তার (৩)।

তিনি বলেন, গত ২০১৮ সালে আশা আক্তারের সাথে খান আব্দুল মজিদ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকেই তাদের সংসার ভালোভাবেই চলছিল। বিয়ের তিন বছরের মাথায় আশা আক্তার জমজ দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরের বছর আরো এক কন্যা সন্তান। এরপর আশা আক্তারের বাবা লাইসুর রহমান ও মা লিপি আক্তারের কুপরামর্শে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার আরো বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি মাতব্বর ও গ্রাম্য-টাউটদের খপ্পরে পড়ে আশা আক্তার স্বামীর সংসারের জিনিসপত্র সোনার গহনা, টাকা-পয়সা সুযোগ পেলেই সরাতে থাকে।

২০২৩ সালের পর থেকেই বিভিন্ন সময় সাতবার স্বামী-সংসার ও সন্তানদেরকে রেখে টাকা-পয়সা, গহনা ও সংসারের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে পালিয়ে যায়। আবার ফিরে আসে। সর্বশেষে চার বছরের দুটি জমজ কন্যা সন্তান ও তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রেখে স্বামী আব্দুল মজিদের বাড়ি বিক্রি করা ১৬ লক্ষ ৯ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

এই ঘটনার পর থেকে স্ত্রীকে ফিরে পাওয়া ও তার বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়ার আশায় স্বামী খান আব্দুল মজিদ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানা সহ দিনাজপুর আদালতে কয়েকটি মামলা দায়ের করা করেছেন। এ মামলাগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় স্ত্রী আশা আক্তার তার বাবা লাইসুর রহমান, মা লিপি আক্তার স্থানীয় টাউট মিরা কাশ্মিরী, আব্দুল মালেক ওরফে চৌধুরী, আব্দুল আলীম, আলো আরজিনা, রাশিদা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, নয়ন মিয়া, রুবেল সাকিব, রুবেল, জাহিদ হাসান শুভসহ কয়েকজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত কর্তৃক কয়েকটি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন, পুলিশ তাদেরকে খুঁজছে। তাদের স্থানীয় ঠিকানা বোচাগঞ্জের নাফানগর ইউনিয়নের সুলতানপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে থেকে তারা এখন পলাতক অবস্থায় রয়েছে। তারা ঢাকার ফতুল্লার কাশেমপুরে পলাতক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আশা আক্তার এখন টিকটক থেকে শুরু করে নিজের অঙ্গভঙ্গির ভিডিও তৈরি করে নতুন নতুন উঠতি বয়সী ছেলেদের সাথে প্রেমের নাটক ও বিবাহ বাণিজ্য এবং বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে এখন জড়িত। তার রূপের ঝলক দেখিয়ে উঠতি বয়সী ছেলেদের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

আশা আক্তার (২৬) রীতিমতো বেশ কয়েকটি বিয়ের করেছেন। এই পরিবারটি বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ছে এবং নতুন নতুন উঠতি বয়সী যুবকদেরকে টার্গেট করে সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে।

আশা আক্তারসহ তার বাবা মা ও এদের বিভিন্ন সাঙ্গপাঙ্গ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়িয়ে ছিটে রয়েছে এবং দিনাজপুর আদালতে যেহেতু এদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ওয়ারেন্ট ইস্যু যা করা হয়েছে। দ্রুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

, বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *