বুধবার, ৪ঠা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,১৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এর সর্বশেষ সংবাদ

জন্মনিবন্ধনে আর লাগবে না মা-বাবার সনদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে বাবা-মায়ের সনদ লাগবে না বলে জানিয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। এর ফলে এখন থেকে হাসপাতালে জন্ম নেয়ার পর দেয়া ছাড়পত্র বা টিকার কার্ড যেকোনো একটি প্রমাণ দেখিয়ে জন্মনিবন্ধন করা যাবে। সোমবার রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মির্জা তারিক হিকমত এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জন্মনিবন্ধন করতে মা-বাবার জন্মসনদ বাধ্যতামূলকের নিয়মটি তুলে দিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। আইন অনুযায়ী সবার জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। ২০২১ সালে একটি বিষয়যুক্ত করা হয়েছিল যে, যাদের জন্ম ২০০১ সালের পর তাদের বয়স ১৮ না হওয়ায় এনআইডি হয়নি। কাউকে যদি জন্মের পর একটি আইডি দিতে চাই সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন অপরিহার্য। স্কুলে এখন ইউনিক আইডি’র বিষয়টি প্রচারণা হচ্ছে। এটি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড। এ পর্যন্ত যারা সঠিকভাবে জন্মনিবন্ধন আবেদন দিয়েছে তাদের ইউনিক আইডি অটোমেটিকালি জেনারেল হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের জন্য বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন দেয়ার বিষয়টি এতদিন ধরে আবেদনে বাধ্যতামূলক থাকলেও সেটি আমরা তুলে দিয়েছি।

১৮ বছরের নিচে যারা তাদের টিকা নিতে হলে হয়তো বাবা-মাসহ তিনটি জন্মনিবন্ধন করা লাগতো। সেজন্য এটি তুলে দিয়েছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। বর্তমানে যদি কেউ নিবন্ধন করতে যান তাহলে আর বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক না। গত ২৮শে জুলাই থেকে সেটি অপশনাল হিসেবে রাখা হয়েছে।

এর আগে ২০০১ সালের পর জন্ম নেয়া ব্যক্তিদের জন্মনিবন্ধন করতে হলে তার বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন সনদ অবশ্যই প্রয়োজন হতো। ওই সময় জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। গত ২৪শে জুলাই মানবজমিন পত্রিকায় জন্মনিবন্ধনের ভোগান্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর ৪দিন পরেই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়।

সূত্র জানায়, ২৭শে জুলাই থেকে জন্মনিবন্ধনের আবেদন করতে গেলে সফটওয়্যারে মা-বাবার জন্মসনদ চাওয়া হচ্ছে না। এতে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া পরিবারের সন্তান, যাদের মা কিংবা বাবা যেকোনো একজনের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এবং পথশিশুদের জন্মনিবন্ধন করতে যে জটিলতা ছিল, সেটি আর থাকছে না। এর ফলে ভোগান্তির অভিযোগ থেকেও রেহাই পাচ্ছে জননিবন্ধন কর্তৃপক্ষ।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Tumblr
Telegram

বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

যায়যায়কাল এর সর্বশেষ সংবাদ