
যায়যায়কাল প্রতিবেদক: ‘সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব মেনে নিতে হবে—এমনটা হলে ঐকমত্য কীভাবে হবে’, প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম স্মারক প্রকাশনা উপলক্ষে বাংলাদেশ রিসার্চ এনালাইসিস নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা এখন সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সংস্কার এখন এমন অবস্থা হয়েছে, আমি মাননীয় সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে বলছিলাম, একটা কবিতাই লিখে ফেলেন, হে সংস্কার তোমাকে পাওয়ার জন্য, আর কতকাল আলাপ-আলোচনা করিবে, খানা-পিনা খাইবে, সংস্কার করার জন্য।’
‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিয়ত কী? সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব মেনে নিতে হবে—এই যদি নিয়ত হয়, তাহলে কী ঐকমত্য হবে? আমরা আলোচনা করছি, কাছাকাছি আসছি, জাতির জন্য যেটা মঙ্গল হবে সেটা আমরা ধারণ করব। এভাবেই আমরা এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাব এবং এই সংস্কার তো আজকেই শেষ হবে না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া,’ বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপরে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে তাকে নিয়ে তৈরি ইন্টারনেট আর্কাইভ ও স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, ‘এই সংস্কার এমনভাবে তারা (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) করতে চাচ্ছে যে, সংবিধানে আমরা এমন সংস্কার ঢোকাব, কেউ যেন আর এই সংস্কার বিলুপ্ত না করতে পারে। এটা তো বাইবেল নয়, ধর্মগ্রস্থ নয়!’
‘আমরা এমন সংস্কার করব, যে সংস্কার ১০-২০ বছর পরে আপনাদের হাত ধরে, নতুন প্রজন্মের হাত ধরে, নতুন চাহিদার ভিত্তিতে আবার সেটা পরিবর্তন হতে হবে, হবে…সেটাই হচ্ছে সংস্কার,’ বলেন এই বিএনপি নেতা।
সংস্কারের মূল প্রবক্তা বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড় বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের ৩১ দফা বাংলাদেশের মানুষের কাছে, রাজনৈতিক মহলে একটা রাজনৈতিক মহাকাব্যে পরিণত হয়েছে।’
‘আমরা ৩১ দফাতে এমন সব উইন্ডোজ ওপেন করে রেখেছি যেখানে জাতির জন্য, জনগণের জন্য যা কিছুই কল্যাণকর হবে, সেসব সংস্কার আমরা ধারণ করব। আমরা রিজিট নই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রথম রাষ্ট্রীয় সংস্কার হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।